ওরেভা গোষ্ঠীর ম্যানেজিং ডিরেক্টর জয়সুখ পটেলের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ এনে সেতু ভাঙার ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছিল। ফাইল চিত্র।
তাঁর সংস্থা রক্ষণাবেক্ষণ করার পরও সেতু ভেঙে জলে পড়ে মারা গিয়েছিলেন ১৩৫ জন। গুজরাতের সেই মোরবী সেতু দুর্ঘটনায় রক্ষণাবেক্ষণকারী সংস্থা ওরেভা গোষ্ঠীর প্রধানকে জেল হেফাজতে পাঠাল আদালত।
ওরেভা গোষ্ঠীর ম্যানেজিং ডিরেক্টর জয়সুখ পটেলের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ এনে সেতু ভাঙার ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছিল। বুধবার মোরবীর মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতে সেই মামলার শুনানি হয়। গত বুধবার জয়সুখকে ৭ দিনের জেল হেফাজতে পাঠিয়েছিল আদালত। তার আগে মঙ্গলবার আত্মসমর্পণ করেছিলেন জয়সুখ। এক সপ্তাহ পুলিশ হেফাজতে থাকার পর বুধবার পুলিশ জানিয়েছে, তাদের আর জয়সুখকে হেফাজতে রাখার প্রয়োজন নেই। এর পরই তাকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
ব্রিটিশ আমলের মোরবী সেতুর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিল জয়সুখের সংস্থা ওরেভা গোষ্ঠী। তবে গত বছরের অক্টোবরে ওই সেতু ভেঙে পড়ে। ১৩৫ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন ১৮০ জনেরও বেশি। অভিযোগ, মেরামতির জন্য দীর্ঘ দিন ধরে সেতু বন্ধ থাকলেও সে কাজে অবহেলা করা হয়েছে। যথাযথ সংস্কার ছাড়াই তা খুলে দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি এই সংস্কারের জন্য বরাদ্দ অর্থ নয়ছয় করা নিয়েও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সংস্কারের জন্য ২ কোটি টাকা বরাদ্দ হলেও জয়সুখের সংস্থা ১২ লক্ষ টাকা খরচ করেছিল বলে অভিযোগ।
পুলিশের দাবি, সেতু বিপর্যয়ের পর থেকেই পলাতক ছিলেন জয়সুখ। তাঁর নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন মোরবীর মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট এমজে খান। গ্রেফতারি এড়াতে আগাম জামিনের আবেদনও করেছিলেন জয়সুখ। পুলিশ অবশ্য সেতু বিপর্যয়কাণ্ডে জয়সুখকেই মূল অভিযুক্ত হিসাবে দাবি করে ১,২৬২ পাতার চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিশ।