ছবি: পিটিআই।
পূর্বাভাস মতোই গুজরাত উপকূলে আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড় তকতে। মৌসম ভবন আগেই জানিয়েছিল, শক্তি বাড়িয়ে তা ইতিমধ্যেই অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। সোমবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ তা আছড়ে পড়ে। ইতিমধ্যেই সেই সব অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়ে গিয়েছে। মৌসম ভবন জানিয়েছেন, ‘‘ল্যান্ডফলের প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। চলবে আগামী তিন’ঘন্টা ধরে।’’ রাত ৯টা ১৫ নাগাদ আও একটি টুইটে জানানো হয়, ‘ঘূর্ণিঝড়ের চোখ ইতিমধ্যেই স্থলভাগে ঢুকে পড়েছে। আগামী তিন ঘণ্টার মধ্যেই তা দিউয়ের পূর্বে সৌরাষ্ট্রের উপকূল এলাকা পেরিয়ে যাবে’।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই গুজরাত উপকূলের পোরবন্দর ও আশেপাশের জেলার প্রায় দেড় লক্ষ মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নিরাপদ স্থানে। প্রশাসনের আশঙ্কা, পোরবন্দর, আমরেলি, জুনাগড়, গির সোমনাথ, ভাবনগরের উপকূল ও আমদাবাদের উপকূল এলাকায় বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। ১১টি নৌ-বাহিনী, ১২টি বন্যা মোকাবিলা বাহিনী এবং মেডিক্যাল টিম মোতায়েন করা হয়েছে ওই রাজ্যে। গান্ধীনগরে সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে কন্ট্রোল রুমে থেকে গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণী।
গুজরাট উপকূলে আছড়ে পড়ার আগেই মৌসম ভবনের তরফে একটি টুইটে জানানো হয়, সন্ধ্যে সাড়ে ৬টা নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টি দিউয়ের উপকূল এলাকা থেকে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে ৭০ কিলোমিটার এবং মুম্বই থেকে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিমে ২০০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে। দিউয়ের পূর্বেই পোরবন্দর এবং ভাবনগর এলাকা দিয়েই তা প্রবেশ করবে। স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সময়ে এই ঝড়ের গতিবেগ ঘন্টায় ১৫৫ থেকে ১৬৫ কিলোমিটার।
গুজরাতের এক সরকারি আধিকারিক জানান, গত ২০ বছরে এই তকতে-ই সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। এর আগে ১৯৯৮ সালে একটি ঘূর্ণিঝ়ড় তাণ্ডব চালিয়েছিল গুজরাতে। সে বারে প্রাণ গিয়েছিল প্রায় চার হাজার মানুষের।