মউ-এর ফাইল নিয়ে চম্পট বাঁদরের। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
বাঁদর পড়ুয়া হয়তো জীবনে বিস্তর সামলেছেন তিনি। কিন্তু কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের অলিন্দে বাঁদরামিতে নাকানিচোবানি খাওয়ার ব্যাপারটা হিসেবে ছিল না বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সবুজকলি সেনের।
একে কেন্দ্রে রামভক্ত বিজেপি সরকার। উপরন্তু বন্যপ্রাণী আইনও যথেষ্ট কড়া। ফলে রাজধানীতে বাড়বাড়ন্ত শাখামৃগদের। তার মধ্যেই আবার শাস্ত্রীভবনের বাঁদরদের ছিনতাইয়ে বিশেষ নামডাক রয়েছে। সবুজকলি আর তাঁর কর্মসচিব সৌগত চট্টোপাধ্যায় দু’জনেই আজ শাস্ত্রীভবনের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকে গিয়েছিলেন ত্রিপাক্ষিক মউ স্বাক্ষরের জন্য।
স্বাক্ষরের আগে লাউঞ্জেই অপেক্ষা করছিলেন দু’জন। দরকারি কাগজ রীতিমতো আগলে নিয়ে বসেছিলেন কর্মসচিব। লিফটের পাশের জানলার ফাঁক দিয়ে কখন যে গুটি গুটি পায়ে এক বাঁদর এগিয়ে এসেছে, বুঝতে পারেননি। ঝাঁপ মেরে কাগজটা নিয়েই তুড়ি লাফ! সবুজকলি আর সৌগত তখন যাকে বলে কিংকর্তব্যবিমূ়ঢ়! সম্বিৎ ফিরতে বাঁদরের পিছনে ধাওয়া করলেন সৌগতবাবু। লোক জমে গেল। উৎসাহী অনেকেই আস্তিন গুটিয়ে নেমে পড়লেন। বিস্তর সাধ্য-সাধনা, লাঠির ভয়, খাবারের লোভ দেখিয়ে অবশেষে উদ্ধার হল মউ-এর কাগজ।
আরও পড়ুন: দালাল-রাজ জারি, সন্দেহ অর্থ মন্ত্রকে
দিল্লির সরকারি ভবনগুলিতে বাঁদরের উৎপাত নতুন নয়। নির্বিচারে গাছ কাটার ফলে থাকার জায়গার অভাবে শাস্ত্রীভবন, কৃষিভবন— এ সবই এখন ভরসা বানরকুলের। তারই মধ্যে বহু সরকারি কর্মচারী নিয়মিত খাবার দেওয়ায় প্রায়শই জানলা দিয়ে মন্ত্রকের ভিতরে ঢুকে আসে তারা। মাঝে মাঝে দৌরাত্ম্য বাড়লে তাদের তাড়াতে সরকারি পয়সায় হনুমানও পোষে সরকার। তাড়া খেয়ে ক’দিন পালায়, তার পর দিন কয়েক বাদে ফের জানলায় উঁকিঝুঁকি। রাম ছেড়ে ‘বান্দর’ কি থাকতে পারে!