চন্দ্রবাবু নায়ডু। —ফাইল চিত্র।
ভুয়ো প্রকল্প দেখিয়ে সরকারি টাকা নয়ছয় করা হয়েছে। আর এই সব কিছুই হয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নায়ডুর শাসনকালেই। বর্ষীয়ান এই টিডিপি নেতার গ্রেফতারি প্রসঙ্গে এমনটাই দাবি করলেন সে রাজ্যের গোয়েন্দা শাখা সিআইডির অতিরিক্ত ডিজি সঞ্জয়।
বুধবার সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে এই সিআইডি কর্তা জানান, ‘স্কিল ডেভেলপমেন্ট দুর্নীতি’তে টাকা পাচারের ‘স্পষ্ট’ ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। তাঁর কথায়, “এমন কিছু প্রকল্পে সরকারি টাকা ব্যয় করার কথা বলা হয়েছে, যে প্রকল্পগুলির বাস্তবে কোনও অস্তিত্বই নেই।” এই প্রসঙ্গে সিআইডি কর্তার সংযোজন, “এই দুর্নীতিতে পড়ুয়াদের কারিগরি শিক্ষা দেওয়ার জন্য একটি সরকারি সংস্থা গড়া হয়েছিল। এই সংস্থা গড়ার প্রস্তাব দিয়েছিল বেশ কিছু বেসরকারি সংস্থা... টাকা পাচারের বিষয়টি এখানে স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে।”
সিআইডি-র দাবি, ২০১৫ সালে চন্দ্রবাবু যখন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী, তখন অন্ধ্রের ছেলেমেয়েদের বিবিধ কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলার জন্য একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে সমঝোতাপত্র (মউ) স্বাক্ষর করে সে রাজ্যের সরকার। মউয়ে বলা ছিল, এই প্রকল্পের দশ শতাংশ খরচ বহন করবে সরকার আর বাকি ৯০ শতাংশ ওই বেসরকারি সংস্থা। অভিযোগ, চুক্তি মোতাবেক বেসরকারি সংস্থাটি টাকা দেয়নি। সরকারি কোষাগার থেকেই যাবতীয় ব্যয় হয়েছিল। আর বেসরকারি সংস্থাটির না দেওয়া টাকা নাকি ঘুরপথে গিয়েছিল একাধিক ছোট-বড় ভুয়ো সংস্থায়। এই দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হলে অন্তত দশ বছর জেলে থাকতে হতে পারে চন্দ্রবাবুকে।
এই মামলায় রবিবার সন্ধ্যায় টিডিপি প্রধানকে ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে বিজয়ওয়াড়ার দুর্নীতি বিরোধী আদালত। সোমবার সকালেই রাজামুন্দ্রি কেন্দ্রীয় জেলে নিয়ে আসা হয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা টিডিপি প্রধান চন্দ্রবাবুকে। আপাতত এই জেলই ঠিকানা চন্দ্রবাবুর। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় আবার আদালতে পেশ করতে হবে চন্দ্রবাবুকে।