লক্ষদ্বীপের এনসিপি নেতা মহম্মদ ফয়জলের। ফাইল চিত্র।
কেরল হাই কোর্টের রায়ের জেরে সাত মাস আগে সাংসদ পদে পুনর্বহাল করা হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে সেই কেরল হাই কোর্টের সেই রায়ে স্থগিতাদেশ দেওয়ায় লক্ষদ্বীপের এনসিপি সাংসদ মহম্মদ ফয়জল আবার সাংসদ পদ হারালেন। বুধবার দ্বিতীয় বারের জন্য লোকসভার সাংসদ পদ থেকে বরখাস্ত করা হল তাঁকে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে আত্মীয়কে খুনের চেষ্টার অপরাধে নিম্ন আদালত ১০ বছরের জেলের সাজা ঘোষণা করায় লক্ষদ্বীপের এনসিপি সাংসদ ফয়জলকে লোকসভা থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। লোকসভা সচিবালয়ের তরফে জানানো হয় ভারতীয় সংবিধানের ১০২(১)ই অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-র ৮ নম্বর ধারা অনুযায়ী, এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।
২০০৯ সালের ওই খুনের চেষ্টার মামলায় গত জানুয়ারি মাসে ফয়জলের ১০ বছর জেলের সাজা ঘোষণা করেছিল লক্ষদ্বীপের রাজধানী কভরাত্তির দায়রা আদালত। তাঁর তিন সঙ্গীরও একই সঙ্গে সাজা ঘোষণা কার হয়। সেই রায়ের বিরুদ্ধে কেরল হাই কোর্টে আবেদন জানিয়ে স্থগিতাদেশ পান এনসিপি নেতা ফয়জল। কারণ, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লক্ষদ্বীপ বিচারবিভাগীয় ক্ষেত্রে কেরল হাই কোর্টের অধীনে। এর দু’মাস পরে মার্চ মাসে সাংসদ পদ ফিরে পেয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু এর পর গত অগস্টে বিচারপতি বিভি নাগারথনা এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভুইয়াঁকে নিয়ে গঠিত শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ কেরল হাই কোর্টের সেই রায়ে স্থগিতাদেশ দেয়। সেই সঙ্গে মামলাটি পুনর্বিবেচনার জন্য কেরল হাই কোর্টে ফেরত পাঠায় সুপ্রিম কোর্ট। জানায়, ছ’সপ্তাহের ওই সময়সীমার ফয়জলের সাজার স্থগিতাদেশের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে লক্ষদ্বীপের প্রশাসনের তরফে যে আবেদন জানানো হয়েছে, কেরল হাই কোর্টকে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে হবে। কিন্তু চলতি মাসে কেরল হাই কোর্ট সাজায় স্থগিতাদেশ না দেওয়ার আবার সাংসদ পদ হারালেন ফয়জল।