ঘটা করে সরকারের সাফল্য মেলে ধরতে পদে পদে বাধা আসছে বহুদিন ধরেই। মসনদে বর্ষপূর্তির আগে নিজেদের দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসনের কথা প্রচার করতেও এ বার ইউপিএ আমলের জের টেনে রাহুল গাঁধীকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হল।
নরেন্দ্র মোদী সরকার বরাবর দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসনের দাবি করলেও কখনও মন্ত্রী নিতিন গডকড়ীর দুর্নীতি, কখনও রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তিতে অনিয়মের অভিযোগ তুলেসরব হয়েছেন বিরোধীরা। তথ্য জানার অধিকারকেও সরকার দুর্বল করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। উপরন্তু, মুখ্য ভিজিল্যান্স কমিশন ও তথ্য কমিশনের শূন্য পদগুলি পূরণ না হওয়া নিয়েও লাগাতার সরব হচ্ছেন বিরোধীরা। বস্তুত, এই শূন্যস্থানগুলি পূরণ করার জন্যই আগামিকাল তড়িঘড়ি বৈঠক ডেকেছেন মোদী। ইতিমধ্যে যে তথ্য জানার অধিকারকে লঘু করা নিয়ে বিরোধীরা সরব হচ্ছেন, তার আওতায় ইউপিএ আমলের এক দুর্নীতির অভিযোগকে সামনে রেখে সরাসরি রাহুলকে আজ নিশানা করেছে বিজেপি।
শাসক দলের দাবি, তথ্য জানার অধিকারের মাধ্যমে সম্প্রতি এক ব্যক্তি জানতে পেরেছেন, অটলবিহারী বাজপেয়ীর সময়ে শুরু হওয়া ‘স্বর্ণ চতুর্ভুজ’ সড়ক প্রকল্পের বদলানো হয় ইউপিএ আমলে। কয়েক জন শিল্পপতিকে সুবিধা পাইয়ে দিতেই এটা করা হয়— এই অভিযোগ তুলে বিজেপি মুখপাত্র এম জে আকবর আজ বলেন, ওই ঘটনায় তখনকার মন্ত্রী পি চিদম্বরম থেকে কমল নাথের ভূমিকা প্রকাশ্যে এসেছে। আকবর প্রশ্ন তোলেন, এই দুর্নীতির টাকা কি কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব তথা রাহুল পর্যন্ত পৌঁছেছিল? কংগ্রেস জবাব দিক।
রাহুল বলেছিলেন, ‘স্যুট-বুট কা সরকার।’ যে ‘কর্পোরেট বন্ধু’ তকমায় মোদীকে বিঁধছে কংগ্রেস, সেই তিরটিই পরোক্ষে রাহুলের দিকে ঘুরিয়ে দিতে চাইছে বিজেপি। কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংহের অবশ্য বক্তব্য, বিজেপিকে যদি ইউপিএ-র সঙ্গে তুলনা টানতে হয়, তবে প্রথম এক বছরের তুলনা করতে হবে। মোদী সরকারের এক বছরের মধ্যেই গডকড়ী থেকে রাফাল চুক্তি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে বলে জানিয়ে দিগ্বিজয় বলেন, ‘‘যে সংস্থাগুলি স্থির করবে দুর্নীতি হচ্ছে কি না, তাদেরই তো পদ শূন্য!’’