আনন্দীবেন না-পসন্দ, নয়া মুখ চাই মোদীর

পাঁচ রাজ্যে ভোট পরবর্তী সমীক্ষা খুব বেশি আশার আলো দেখাতে পারেনি। তাই পরের বছর নিজের রাজ্য গুজরাতে জয় সুনিশ্চিত করতে মুখ্যমন্ত্রী বদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০১৬ ০৩:১৯
Share:

পাঁচ রাজ্যে ভোট পরবর্তী সমীক্ষা খুব বেশি আশার আলো দেখাতে পারেনি। তাই পরের বছর নিজের রাজ্য গুজরাতে জয় সুনিশ্চিত করতে মুখ্যমন্ত্রী বদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী।

Advertisement

বিজেপি সূত্রের খবর, ১৯ মে পাঁচ রাজ্যে ভোটের ফল ঘোষণার পরেই গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী আনন্দীবেনকে সরানো প্রায় নিশ্চিত। ঘটনাচক্রে আজই আনন্দীবেন পটেল দিল্লি এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। কিন্তু সূত্রের খবর, নিজের রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী বদলের সিদ্ধান্ত আগেই নিয়ে ফেলেছেন মোদী। আনন্দীবেনকে ভবিষ্যতে কোনও রাজ্যের রাজ্যপাল করা হতে পারে।

হঠাৎ এই সিদ্ধান্ত কেন? দলীয় সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে আনন্দীবেনকে গুজরাত সামলানোর দায়িত্ব দিলেও সরকার ও দলের মধ্যে সমন্বয় নেই বলে বারবার রিপোর্ট গিয়েছে মোদীর কাছে। সেই সঙ্গে প্রশাসনেও দখল নেই আনন্দীর। পটেল আন্দোলন সামাল দিতেও ব্যর্থ তিনি। ফলে এখনই মুখ্যমন্ত্রী বদলে সব ক্ষত মেরামত করতে চান মোদী।

Advertisement

কিন্তু আনন্দীবেনের পরিবর্তে গুজরাতের কুর্সিতে কে বসবেন, তা চূড়ান্ত নয়। আপাতত তিন জনের নাম নিয়ে আলোচনা চলছে। এক নিতিন পটেল। কিন্তু তাঁকে দিয়ে গুজরাতের পটেল সমস্যা মেটানো সম্ভব কি না, তা নিয়ে ধন্দে নেতৃত্ব। দুই, গুজরাত বিধানসভার স্পিকার গণপতসিন ভাসাভা। আদিবাসী এই নেতা মোদী-ঘনিষ্ঠ। প্রথম বার বিধায়ক হওয়ার পরেই তাঁকে স্পিকার করেন মোদী। তৃতীয়ত, সৌরাষ্ট্রে কব্জা রয়েছে, এমন
এক নেতাকে রাজ্যের দায়িত্ব দিলে পারষোত্তম রূপালাও হতে পারেন মোদীর কালো ঘোড়া। কিন্তু তাঁকে নাকি অমিত শাহ পছন্দ করেন না।

সঙ্ঘের একাংশ অমিত শাহকেই গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে পাঠাতে চাইছে। সঙ্ঘের মতে, থাওরচন্দ্র গহলৌতের মতো কাউকে সভাপতি করে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ঝাঁপানো উচিত বিজেপির।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement