সেদিন তাঁরা পাশাপাশি, অটলবিহারী বাজপেয়ী ও নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।
অটলবিহারী বাজপেয়ীর সঙ্গে তাঁর ‘ঘনিষ্ঠতা’ বোঝাতে আগেও সক্রিয়তা দেখিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর দ্বিতীয় প্রয়াণ দিবসেও তার ব্যতিক্রম হল না। রবিবার বাজপেয়ীর ভিডিয়ো এবং ছবির একটি সংকলন টুইট করে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন মোদী।
মোদী আজ টুইটারে লিখেছেন, ‘‘অটলজির পুণ্য তিথিতে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ। জাতির অগ্রগতিতে তাঁর অসামান্য অবদানের কথা ভারত সব সময় স্মরণ করবে।’’
১ মিনিট ৪৯ সেকেন্ডের এই ভিডিয়োতে বাজপেয়ীর রাজনৈতিক যাত্রার কথা তুলে ধরা হয়েছে। বলা হয়েছে প্রশাসক হিসেবে তাঁর সাফল্যের কথা। আর নেপথ্যের সেই কণ্ঠস্বর নরেন্দ্র মোদীর। তিনি সেখানে বলছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বাজপেয়ীর আত্মত্যাগের কথা দেশ ভুলতে পারবে না। তাঁর নেতৃত্বেই ভারত পরমাণু শক্তিধর হয়েছিল। সাংসদ, মন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকায় বাজেপেয়ীর ভূমিকা অতুলনীয়।
ঘটনাচক্রে, ২০০২ সালে গোধরা পরবর্তী ভয়াবহ হিংসার পরে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী মোদীর ‘ভূমিকা’ সম্পর্কে প্রকাশ্যে উষ্মা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী বাজপেয়ী। সাংবাদিক বৈঠকে মোদীকে পাশে বসিয়ে ‘রাজধর্ম’ পালন করার নির্দেশ দিয়ে বলেছিলেন, ‘‘রাজার কাছে বা শাসকের কাছে প্রজায় প্রজায় ভেদ হয় না। জন্ম, জাতি বা সম্প্রদায়, কোনও কিছুর ভিত্তিতেই শাসক প্রজায়-প্রজায় ভেদাভেদ করতে পারেন না।’’ মোদীর ভিডিয়োয় আজ অবশ্য ঠাঁই পায়নি সেই ইতিহাস।
আরও পড়ুন: টিকটকের পর এ বার আলিবাবার উপর নিষেধাজ্ঞা জারির ইঙ্গিত ট্রাম্পের
বাজপেয়ীর প্রয়াণ দিবসে আজ দিল্লিতে তাঁর সমাধিস্থল ‘সদৈব অটল’-এ গিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মোদী। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ড়ু, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়েছিলেন। অমিত বলেন, ‘‘বাজপেয়ীর আমলেই দেশ প্রথম সুশাসনের সাক্ষী হয়েছে। মোদী সরকার সেই নীতিই অনুসরণ করছে।’’
আরও পড়ুন: দেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা আছে কি? মোদী সরকারকে প্রশ্ন সনিয়ার