প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। -ফাইল ছবি।
ভারতে কোভিড টিকা কী ভাবে বানানো হচ্ছে, প্রয়োজনীয় সব নিয়মকানুন, সতর্কতা মেনে চলা হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখতে শনিবার প্রথমে হায়দরাবাদের জিনোম ভ্যালিতে ‘ভারত বায়োটেক’-এর গবেষণাগারে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার পর সেখান থেকে তিনি যাবেন পুণের ‘সেরাম ইনস্টিটিউট’-এ। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে শুক্রবার এই খবর পাওয়া গিয়েছে।
সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ' (আইসিএমআর)-এর সহযোগিতায় কোভিড টিকা বানাচ্ছে হায়দরাবাদের সংস্থা ভারত বায়োটেক। টিকার নাম ‘কোভ্যাক্সিন’। অন্য দিকে, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভাবিত যে টিকা অ্যাস্ট্রাজেনেকা বানাচ্ছে, তা ভারতে বানানোর অনুমতি পেয়েছে পুণের সেরাম ইনস্টিটিউট।
হায়দরাবাদের পুলিশ কমিশনার ভি সি সজ্জনার জানিয়েছেন, আগামী কাল, শনিবার বিকেল ৩টে ৪০ মিনিট নাগাদ হায়দরাবাদে পৌঁছনোর কথা প্রধানমন্ত্রীর। বিমানবন্দর থেকে কনভয় নিয়ে তিনি সোজা চলে যাবেন জিনোম ভ্যালির ভারত বায়োটেক-এর টিকা তৈরির গবেষণাগারে। সেখানকার টিকা তৈরির কারখানাও ঘুরে দেখবেন তিনি। হায়দরাবাদে থাকবেন প্রায় ঘণ্টাদু’য়েক।
আরও পড়ুন: যাত্রিবাহী সব বাণিজ্যিক আন্তর্জাতিক উড়ান বন্ধ ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত
আরও পড়ুন: সপ্তম পর্বের আনলকে নয়া করোনা নির্দেশিকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের
তার পর প্রধানমন্ত্রী সন্ধ্যা পৌনে ৬টা নাগাদ হায়দরাবাদ থেকে রওনা হবেন পুণে। সেখানেও বিমানবন্দর থেকে তিনি সোজা চলে যাবেন সেরাম ইনস্টিটিউটে। পুণের পুলিশ ও প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, পিম্পরি-চিঞ্চওয়াড় এলাকায় সেরাম ইনস্টিটিউটে প্রধানমন্ত্রী কাল আসবেন বলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হচ্ছে।
প্রয়োজনীয় সরকারি অনুমোদন মিললে ভারত বায়োটেকের টিকা আগামী বছর এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যেই ভারতের বাজারে এসে যেতে পারে বলে সংস্থার তরফে ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে। দাবি করা হয়েছে, এই টিকা ৬০ শতাংশ কার্যকর হবে।
ও দিকে সেরাম-ও জানিয়েছে, আগামী এপ্রিলেই আমজনতাকে দেওয়ার জন্য অক্সফোর্ডের টিকা ভারতের বাজারে আনা সম্ভব হবে। অ্যাস্ট্রাজেনেকার দাবি, এই টিকা ৭০ শতাংশ কার্যকর হবে।