লালকেল্লা ময়দানে রাবণ দহণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছবি: এএফপি।
রাবণকে তিরবিদ্ধ করতে হাতে তুলে নিয়েছিলেন ধনুকটা। ধনুকের তিরটা লাগিয়ে ছিলায় টান দিয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু তির গিয়ে বিদ্ধ করতে পারল না রাবণকে। দ্বিতীয় বারের চেষ্টাতেও খুব একটা সফল হলেন না।
আরও পড়ুন: মা, সুবোধ রায়, আমি
দিল্লির লালকেল্লা ময়দানে তখন ভিআইপি থেকে হাজার হাজার আমজনতার ভিড়। সবাই রাবণ পোড়ানো দেখতে এসেছিলেন। রাবণ দহনে এসছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর হাতেই তুলে দেওয়া হয় রাবণ বধের হাতিয়ার— তির-ধনুক। সবাই তখন সাগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন। হাতে তির-ধনুক তুলে নিয়ে রাবণকে তাক করে মারতে গিয়েই বিপত্তি বাধল। তির এগোল না। দ্বিতীয় বার চেষ্টাতেও খুব একটা লাভ হল না। কারণ ধনুক বিকল হয়ে গিয়েছিল। কিছুটা ‘অস্বস্তিতে’ পড়ে গিয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু ঝটিতেই সেটা সামলে নেন। ধনুক দিয়ে তির ছুড়তে পারেননি তো কী হয়েছে, হাত তো রয়েছে! মৃদু হেসে ধনুকটা নিয়ে জ্যাভেলিন থ্রো-এর মতো তাক করে ছুড়ে মারলেন রাবণের দিকে।
আরও পড়ুন: সঙ্ঘেই আছে সঙ্ঘ, বুঝিয়ে দিলেন মোহন
রাবণ দহনের পালা শেষে ভাষণ দেন মোদী। বলেন, “উত্সবকে শুধু উত্সব বলে মনে করলে চলবে না, এই উত্সবই সমাজকে শিক্ষিত করার একটি মাধ্যম। উত্সবই সব ধর্মের মানুষের মধ্যে মেলবন্ধন তৈরি করে। সকলকে নিয়ে পথ চলার শিক্ষা দেয়।” ২০২২-এ এক নতুন ভারতের সঙ্কল্প নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।