সংসদের বাদল অধিবেশনে জমি অধিগ্রহণ বিল পাশ করানোটা এ বার কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ল সংসদীয় কমিটির সিদ্ধান্তে। লোকসভায় পাশ হলেও রাজ্যসভায় বিরোধীদের চাপে বিলটিকে সংসদীয় কমিটিতে পাঠাতে বাধ্য হয়েছিল সরকার। ঠিক হয়েছিল, ২১ জুলাই, বাদল অধিবেশনের প্রথম দিনই রিপোর্ট দেবে কমিটি। যাতে রিপোর্ট খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া ও সংসদে আলোচনা করে বিলটি পাশ করানোর জন্য সরকারের হাতে যথেষ্ট সময় থাকে। কিন্তু কংগ্রেস ও তৃণমূল নেতাদের চাপে সংসদীয় কমিটিতে আজ ঠিক হয়েছে, রিপোর্ট পেশ হবে আরও দু’সপ্তাহ পরে। অর্থাৎ ৪ অগস্টের আগে নয়। আর অধিবেশন শেষ হওয়ার কথা ১৩ অগস্ট। অর্থাৎ সরকারের হাতে বিশেষ কোনও সময়ই থাকবে না।
আজ সংসদীয় কমিটির বৈঠকের শুরুতে চেয়ারম্যান সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়া নিজেই প্রস্তাব দেন, রিপোর্ট তৈরির জন্য আরও সময় নেওয়া হোক। কংগ্রেসও তাতে রাজি হয়। প্রস্তাব আসে, আরও দু’সপ্তাহ সময় নেওয়া হোক। কিন্তু কংগ্রেসের দিগ্বিজয় সিংহ দাবি তোলেন, ১৩ অগস্ট অর্থাৎ সংসদের অধিবেশনের শেষ দিনে রিপোর্ট পেশ করা হোক। অহলুওয়ালিয়া যুক্তি দেন, স্পিকার তা মেনে নেবেন না। তাই দু’সপ্তাহ বাড়তি সময় নেওয়া হোক। তৃণমূলের ডেরেক ও’ব্রায়েন দাবি তোলেন, যে ৪৪টি সংগঠন কমিটির কাছে মত জানিয়েছে তার ৪২টিই এই বিলের বিরোধিতা করেছে। জমা পড়েছে পাঁচশোরও বেশি লিখিত মতামত। দু’একটি বাদে তার সবগুলিতেই রয়েছে জমি বিলের বিরোধিতা। কাজেই বিলটি ফেরত পাঠানো হোক। সঙ্গে সঙ্গে দিগ্বিজয়ও তৃণমূলের যুক্তিকে সমর্থন করেন। এই পরিস্থিতিতে ভোটাভুটিেত ঠিক হয়, দু’সপ্তাহ পরেই রিপোর্ট পেশ হবে। সুষমা স্বরাজ ও বসুন্ধরা রাজে প্রশ্নে প্রথম ক’দিন অধিবেশনের কাজ পণ্ড হওয়ার আশঙ্কা প্রবল। সে সব সামলে অবিতর্কিত বিলগুলিই আগে পাশ করানোর চেষ্টা করবে সরকার। জমি বিল পাশ করানোর সুযোগ হবে কি না তা নিয়ে সরকার পক্ষই ঘোর সংশয়ে।