ওইসিডি-র সমীক্ষা রিপোর্ট যে নরেন্দ্র মোদীর মুকুটে নতুন পালক যোগ করল, সে নিয়ে কোনও সংশয় নেই। ছবি: রয়টার্স।
গোটা পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে আস্থাভাজন সরকার হল ভারতের সরকার। নরেন্দ্র মোদীর সরকারের কাজকর্মে তাঁর দেশের যত শতাংশ মানুষের আস্থা রয়েছে, অন্য কোনও দেশের সরকারের কাজকর্মের প্রতি সেই সব দেশের মানুষের ততটা আস্থা নেই। অর্গানাইজেশন ফর ইকনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট-এর (ওইসিডি) করা একটি আন্তর্জাতিক সমীক্ষার রিপোর্ট এমন তথ্যই দিচ্ছে। নরেন্দ্র মোদীর সরকার যে সব কাজ করছে, তাতে দেশের ভালই হবে— এমনটা নাকি মনে করছেন ভারতের ৭৩ শতাংশ মানুষ।
অনেকগুলি মাপকাঠির ভিত্তিতে এই র্যাঙ্কিং প্রকাশ করে ওইসিডি। কোনও দেশে অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং পরিবেশগত পরিবর্তন কী ভাবে হচ্ছে, তা বুঝতে ওইসিডি বিভিন্ন দেশের সরকারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করে। দেশের মানুষ সরকারকে স্থিতিশীল এবং বিশ্বাসযোগ্য মনে করেন কি না, দেশের মানুষকে ঝুঁকি থেকে রক্ষা করতে সরকার সক্ষম বলে নাগরিকরা মনে করেন কি না, জনকল্যাণমূলক কাজে সরকার পারদর্শী বলে দেশবাসী মনে করেন কি না— এই সব মাপকাঠির ভিত্তিতেই ওইসিডি বিচার করে সরকার নাগরিকদের কাছে কতটা আস্থাভাজন।
সমীক্ষা রিপোর্টে ওইসিডি জানিয়েছে, বর্তমানে ভারত সরকারই নাগরিকদের কাছে সবচেয়ে আস্থাভাজন সরকার। ভারতের ৭৩ শতাংশ মানুষ মোদীর সরকারের কাজকর্মে ভরসা রাখছেন।
ভারত সরকারের প্রতি ভারতের নাগরিকদের আস্থার এই হিসেব শুধু মোদীর জন্য নয়, গোটা দেশের জন্যই গর্বের বিষয়। ছবি: পিটিআই।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কানাডার সরকার। প্রেসিডেন্ট জাস্টিন ত্রুদোর সরকার এই মুহূর্তে সে দেশের ৬২ শতাংশ নাগরিকের আস্থাভাজন, বলছে সমীক্ষা রিপোর্ট। আর সদ্য অভ্যুত্থানের চেষ্টা ব্যর্থ করে দেওয়া তুরস্কের সরকার রয়েছে তৃতীয় স্থানে। প্রেসিডেন্ট এরদোগানের সরকার তুরস্কের নাগরিকদের ৫৮ শতাংশের কাছে প্রিয়। রাশিয়ার সরকার রয়েছে তালিকার চতুর্থ স্থানে। জার্মানি পঞ্চমে।
আরও পড়ুন: চিন নিয়ে বিপাকে পড়া কেন্দ্র চাইছে বিরোধীদের পূর্ণ সমর্থন
নাগরিকদের আস্থা অর্জনের প্রশ্নে কিন্তু আমেরিকার সরকার অনেক পিছিয়ে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যা কিছু করবেন, তাতে আমেরিকার কল্যাণই হবে, এমনটা মনে করেন আমেরিকার ৩০ শতাংশ মানুষ। ওইসিডি সমীক্ষার দাবি অন্তত সে রকমই। আর ব্রিটেনে টেরেসা মে-র সরকারের উপর ভরসা রাখছেন সে দেশের ৪১ শতাংশ নাগরিক।
ওইসিডি-র র্যাঙ্কিং-এ সবচেয়ে নীচে রয়েছে গ্রিস। প্রায় এক দশক ধরে তীব্র আর্থিক সঙ্কটের সঙ্গে যুঝছে পূর্ব ইউরোপের দেশটি। নাগরিকদের আস্থা সরকারের প্রতি কমাই স্বাভাবিক। প্রত্যাশিত ভাবেই ওইসিডি রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, গ্রিসের নাগরিকদের মাত্র ১৩ শতাংশ সে দেশের সরকারের উপর আস্থাশীল।