ছবি: পিটিআই।
দেশের প্রত্যেক বাড়িতে শৌচাগার থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করতে সরকার যে দায়বদ্ধ, বিশ্ব শৌচাগার দিবসে তা ফের মনে করিয়ে দিলেন নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু বিরোধীদের বক্তব্য, সেই প্রতিশ্রুতি কি সত্যিই পূরণ হবে? না কি বহু শৌচাগার থেকে যাবে শুধু খাতায়-কলমে? সেপ্টেম্বরে সিএজি-র রিপোর্টে যেমনটা উঠে এসেছিল।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী টুইট করে বলেন, “বিশ্ব শৌচাগার দিবসে (দেশে) সকলের জন্য শৌচাগারের সুবিধার প্রতিজ্ঞাকে আরও মজবুত করছে ভারত। গত কয়েক বছরে (সরকারি উদ্যোগে) কয়েক কোটি মানুষের জন্য স্বাস্থ্যকর শৌচাগার নির্মাণে অভূতপূর্ব সাফল্য মিলেছে। তাতে সকলের স্বাস্থ্যের উপকার তো হয়েইছে, সেই সঙ্গে সম্মান বজায় থেকেছে মহিলাদের।”
বিরোধীরা মানছেন, স্বচ্ছ ভারত মিশনের আওতায় সকলের জন্য শৌচাগারের প্রকল্পের দরুণ ভোট-বাক্সে লাভবান হয়েছে বিজেপি। কিন্তু সেপ্টেম্বরে সিএজি-র রিপোর্টে দেখা গিয়েছিল, বিভিন্ন স্কুলের জন্য সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল থেকে কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি যে সব শৌচাগার তৈরি করেছিল, অপরিচ্ছন্নতা এবং জল না-থাকার কারণে তার অন্তত ৩০ শতাংশই ব্যবহারের অনুপযুক্ত। ৭২ শতাংশে পর্যাপ্ত জল নেই। ১১ শতাংশ শৌচাগার হয় তৈরিই হয়নি, নইলে তার কাজ অসম্পূর্ণ! একটি ছোট নমুনাতেই প্রকল্পের ছবি এমন হলে, সকলের জন্য শৌচাগার তৈরির প্রতিশ্রুতি বাস্তবে কতটা ভরসাযোগ্য, তা নিয়ে ফের প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।