বাঁশি বাজাচ্ছেন মোদী। ছবি: রয়টার্স
রাজধানীর ১৩৬ বছরের পুরনো প্রাথমিক স্কুলটিতে গিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী অবলীলায় মিশে গেলেন ছোট শিশুদের সঙ্গে। জানলেন, জাপানে শিশুরা কী ভাবে পড়াশোনা করে। সব শুনে শেষে নরেন্দ্র মোদী বললেন, “অনেক সমৃদ্ধ হলাম।” টোকিওর ওই স্কুলটির নাম তাইমেই এলিমেন্টারি স্কুল। মোদী নিজেকে সেখানকার সবচেয়ে ‘বয়স্ক ছাত্র’ বলে পরিচয় দিয়ে আগ্রহভরে শুনলেন, জাপানের শিক্ষাব্যবস্থায় আধুনিকতা, নীতিশিক্ষা এবং নিয়মানুবর্তিতার কী রকম প্রভাব রয়েছে। ভারতের স্কুলে জাপানি ভাষা শেখাতে আসুন মোদী ওই স্কুলের শিক্ষকদের আমন্ত্রণ জানান এ ভাবেই। প্রস্তাব করেন বেশ কিছু অনলাইন কোর্সেরও। ভূমিকম্পে এক বার অনেকটাই ভেঙে গিয়েছিল তাইমেই স্কুলের একটা অংশ। পরে সেটি পুনর্নির্মাণ করা হয়। মোদীও ওই স্কুলের সবাইকে জানান তাঁর রাজ্যের কথা। বলেন, “আমি জানি ভূমিকম্পে স্কুলবাড়ি ধসে পড়লে কেমন লাগে। ২০০১ সালে গুজরাতের সেই ভূমিকম্প ভুলতে পারি না।” এর পরে মোদী যান একটি ঘরে, যেখানে ছোট ছেলেমেয়েরা গান গেয়ে তাঁকে স্বাগত জানায়। মুগ্ধ হয়ে খুদেদের বাঁশি শোনেন প্রধানমন্ত্রী। বাঁশি শুনে পশুরা যে আকৃষ্ট হয় সে কথা বলেন মোদী। সেই প্রসঙ্গেই তাঁর মুখে শোনা যায়, কৃষ্ণের কথা। বলেন, “ভারতীয় পুরাণে আছে কৃষ্ণের কথা। কৃষ্ণের বাঁশি শুনে সব গরু তাঁর কাছে চলে আসত।” তার পর মোদী নিজেই ঠোঁটে তুলে নেন। তাঁর বাঁশির সুরেঅবাক শিশুরা।
স্কুল থেকে বেরিয়ে জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সঙ্গে ‘চায়ে পে চর্চা’য় বসেন মোদী। হাঁটু মুড়ে মাটিতে বসে প্রথা মেনেই বিশেষ কাপ থেকে জাপানি চায়ে চুমুক দেন তিনি। আবেও বসেন তাঁর পাশে।