Narendra Modi

Narendra Modi: বারাণসীতে ফের শিলান্যাসে মোদী, প্রশ্ন বিরোধীদের

প্রধানমন্ত্রী দাবি করছেন, রাজ্যে যোগী সরকার ও কেন্দ্রে মোদী সরকারের ‘ডাবল ইঞ্জিন’-ই উত্তরপ্রদেশের মানুষকে প্রগতির দিকে নিয়ে যাবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২১ ০৬:৫৬
Share:

ফাইল ছবি

উত্তরপ্রদেশে নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে সে রাজ্যে নিত্যনতুন প্রকল্পের সংখ্যা এবং সরকারি বিনিয়োগের পরিমাণ। তার বেশির ভাগ ঘোষণাই হচ্ছে বারাণসী থেকে। বারাণসী যেন এখন ‘প্রকল্প ঘোষণার নগরী’!

Advertisement

বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র বারাণসীতে ৮৭০ কোটি টাকার ২২টি প্রকল্পের উদ্বোধন করার পরে ঠাট্টার সুরে এই কথাই বলছেন বিরোধীরা। রাজনৈতিক সূত্রের বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন কেন্দ্রীয় এবং রাজ্যের প্রকল্পের উদ্বোধনই শুধু করছেন না, সেই মঞ্চে দাঁড়িয়ে বারবার দিল্লিতে কংগ্রেস এবং উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টির পূর্বতন সরকারের ‘ব্যর্থতা’, ‘দুর্নীতি’ নিয়ে বিঁধছেন। দাবি করছেন, রাজ্যে যোগী সরকার ও কেন্দ্রে মোদী সরকারের ‘ডাবল ইঞ্জিন’-ই উত্তরপ্রদেশের মানুষকে প্রগতির দিকে নিয়ে যাবে।

আজকের অনুষ্ঠানে অবশ্য মোদীকে একই সঙ্গে গো-রাজনীতি তথা ধর্মীয় মেরুকরণ এবং কংগ্রেস আর এসপি-র ‘পরিবারতন্ত্র’-কে আক্রমণ করতে দেখা গিয়েছে। তাঁর মন্তব্য, “আমাদের পাঠ্যসূচিতে সব কা সাথ, ওদের পাঠ্যসূচিতে মাফিয়াবাদ-পরিবারবাদ।” প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, “গরু এবং গোবর্ধন নিয়ে কথা বলা অনেকের কাছে অপরাধ। কিন্তু আমাদের কাছে গরু মায়ের মতো। ডেয়ারি শিল্পকে শক্তিশালী করা সরকারের অগ্রাধিকার। বিরোধীরা গরু, মোষ নিয়ে রসিকতা করে। তাঁরা ভুলে যান দেশের ৮ কোটি পরিবারের জীবন নির্বাহ হয় গরুর দুধ থেকে।”

Advertisement

আজ সকালে প্রধানমন্ত্রী বারাণসীতে উত্তরপ্রদেশ রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগমের ফুড পার্কে একটি ডেয়ারির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। তাঁর দাবি, গত ছ’সাত বছরে দেশে দুধ উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৪৫ শতাংশ। মোদীর কথায়, ভারত এখন বিশ্বের ২২ শতাংশের মতো দুধ উৎপাদন করে থাকে। উত্তরপ্রদেশ দেশের সব থেকে বেশি দুগ্ধ উৎপাদনকারী রাজ্য।

গত তিন মাসে বার বার উত্তরপ্রদেশে এসে ডাবল ইঞ্জিনের প্রচার করতে দেখা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে। তাই নিয়ে বিরোধীরা সমালোচনাও করেছেন। আজ এই তত্ত্বের পক্ষে সওয়াল করে মোদী বলেন, “কাশী এবং উত্তরপ্রদেশের ডাবল ইঞ্জিন এবং ডাবল উন্নয়নের কথা বললে অনেকেই আহত হন। এই ধরনের মানুষেরা জাতি, সম্প্রদায় এবং ধর্মের দিক থেকেই উত্তরপ্রদেশকে দেখে থাকেন। রাজ্যের উন্নয়ন তাঁরা চান না।” এর পরেই প্রধানমন্ত্রীর আক্রমণ, “আমরা সবাই জানি এদের অভিধান, অভিব্যক্তি এবং চিন্তাভাবনার মধ্যে রয়েছে মাফিয়াবাদ, পরিবারবাদ এবং অবৈধ উপায়ে সম্পত্তি দখল।”

কংগ্রেস নেতৃত্বের বক্তব্য, যত ক্ষণ না নির্বাচন কমিশন ভোট ঘোষণা করছে, তত ক্ষণ বিজেপির পক্ষ থেকে প্রায় প্রতি সপ্তাহে এই শিলান্যাসের খয়রাতি চলতেই থাকবে। ভোট ঘোষণা হয়ে গেলে আচরণবিধি জারি হয়ে যাবে। তাই এত তাড়াহুড়ো। উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেস নেতা রাজ বব্বরের কথায়, “আমারও ভোট প্রচারের সামান্য অভিজ্ঞতা রয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী গত চল্লিশ দিনে দশ বার এসেছেন উত্তরপ্রদেশে। তা হলে তাঁদের সমীক্ষায় কি বিজেপির রিপোর্ট ভাল আসছে না?”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement