ওয়াহিদা রেহমান। —ফাইল চিত্র।
ওয়াহিদা রেহমানকে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার ও মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশকে একই রাজনীতির সুতোয় বেঁধে ফেলল মোদী সরকার।
আজ কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর ওয়াহিদাকে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করে বলেছেন, ‘‘যে সময়ে ঐতিহাসিক নারী শক্তি বন্দন অধিনিয়ম সংসদে পাশ হয়েছে, সে সময়ে এই জীবনভর কাজের সম্মান ভারতীয় সিনেমার একজন প্রধান নারীর প্রতি যথোচিত শ্রদ্ধার্ঘ্য। উনি সিনেমার পরে নিজের জীবনকে সেবামূলক কাজ ও সমাজকল্যাণে উৎসর্গ করেছেন।” ওয়াহিদাকে ‘ভারতীয় নারী’র ‘নিষ্ঠা, দায়বদ্ধতা ও শক্তি’র প্রতীক হিসেবেও তুলে ধরেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। রাজনৈতিক নেতারা মনে করছেন, মোদী সরকার তিন তালাক নিষিদ্ধ করে মুসলিম মহিলাদের প্রতি বার্তা দিতে চেয়েছিল। এখন মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশ করিয়ে সামগ্রিক ভাবে মহিলা ভোটব্যাঙ্কের মন জয় করতে চাইছে। এই প্রতীকী রাজনীতির সঙ্গে ওয়াহিদার ফালকে পুরস্কারকেও সূক্ষ্ম ভাবে জুড়ে দেওয়ার চেষ্টা হল।
আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘ওয়াহিদা রেহমানকে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারে সম্মানিত করা হচ্ছে বলে আমি আনন্দিত। ভারতীয় সিনেমায় তাঁর যাত্রাপথ অবিস্মরণীয় ছাপ রেখে গিয়েছে।” তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রক জানিয়েছে, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের সময়ে ওয়াহিদার হাতে ফালকে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। এ বার এই পুরস্কার বাছাই কমিটিতে ছিলেন আশা পারেখ, চিরঞ্জীবী, পরেশ রাওয়াল, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও শেখর কপূর।