ছবি: সংগৃহীত।
অ-হিন্দিভাষীদের উপরে হিন্দি ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার একের পর এক অভিযোগ ঘিরে ফের নিশানায় কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার।
সম্প্রতি কেন্দ্রের একটি ওয়েবিনার চলাকালীন অ-হিন্দিভাষী যোগশিক্ষক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের ‘হিন্দি বুঝতে বা বলতে না পারলে অনুষ্ঠান থেকে বেরিয়ে যেতে’ বলেন আয়ুষ মন্ত্রকের সচিব রাজেশ কোটেচা। বিষয়টি নিয়ে নানা মহলে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। ক'দিন আগেই হিন্দি বলা নিয়ে সিআইএসএফ-কর্তার সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়া ডিএমকে সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কানিমোঝি এই বিষয়টি নিয়ে কড়া ভাষায় আয়ুষ মন্ত্রী শ্রীপদ নায়েককে চিঠি লিখেছেন। ওই আমলার শাস্তির দাবিও উঠেছে। তার মধ্যেই শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে ভিডিয়ো-বক্তৃতার সময়ে শিক্ষামন্ত্রী রমেশ নিশঙ্ক পোখরিয়াল বলেন, বিশ্বে ভারতের পরিচিতি হিন্দিতেই! খোদ মন্ত্রী এমন বলায় প্রশ্ন উঠেছে, তা হলে কি বিজেপি তাদের হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্তান কর্মসূচি রূপায়ণের জন্যই এ ভাবে বিষয়টি নিয়ে ঝাঁপিয়েছে? বস্তুত আঞ্চলিক ভাষাগুলিকে নানা ভাবে গুরুত্বহীন করে দিয়ে অ-হিন্দিভাষীদের উপরে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে গত কয়েক বছরে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। হিন্দির মতোই বাংলা, মালয়ালি, কন্নড়, তামিল-সহ একাধিক ভাষা সরকারি ভাষার স্বীকৃতি পেলেও বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবারের একাংশ নানা ভাবে হিন্দিকে ভারতের 'জাতীয় ভাষা' বলে প্রচার করছে বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ কানিমোঝি চিঠিতে লিখেছেন ‘...অ-হিন্দিভাষী রাজ্যগুলিতে ইংরেজি ভাষাকে প্রাধান্য দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু এক সময় লোকসভায় দাঁড়িয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। যত দিন না তা হচ্ছে, এটা চলতেই থাকবে।’