ফাইল চিত্র
ন্যূনতম কতটা খাবার আপনি নেবেন, এর পর সেটা হয়তো আর রেস্তোঁরার কথা মতো হবে না।
একটি চাইনিজ রেস্তোরাঁয় গিয়ে চাউমিন অর্ডার করলেন। যে পরিমাণ চাউমিন আপনাকে দেওয়া হল, তার অর্ধেকটা খেতে পারলেন। বাকিটা পড়ে রইল প্লেটেই। কেউ কেউ প্যাক করে বাড়ি নিয়ে যান বটে, কিন্তু তা খুবই কম। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ডাস্টিবিনই ওই অভুক্ত খাবারের শেষ আশ্রয়। এর জন্য কিন্তু আপনি পুরো টাকাই দিলেন। অথচ যদি বলেন যে আপনি অর্ধেক খাবেন এবং অর্ধেক দাম দেবেন, রাজিই হবে না রেস্তোরাঁ।
আরও পড়ুন- ঝাড়খণ্ডে আরএসএস-এর ‘ঘর ওয়াপসি’, ধর্মান্তরণ ৫৩টি পরিবারের
এই দৃশ্য শুধু একটি-দুটি রেস্তোরাঁয় নয়। দেশের নামী দামি রেস্তোরাঁয় প্রতি দিনই নষ্ট হচ্ছে খাবারের একটি বিরাট অংশ। এ বার এই নষ্ট খাবার রুখতে নয়া নিয়ম আনতে চলেছে সরকার। গত মাসে মন কি বাত অনুষ্ঠানে তার ইঙ্গিতও দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রতি দিন দেশে যে পরিমাণ খাবার নষ্ট হচ্ছে, তাতে গরিবের উপর অন্যায় করা হচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
কেন্দ্রীয় উপভোক্তা বিষয়ক এবং খাদ্য ও গণবন্টন মন্ত্রী রামবিলাস পাসওয়ান বলেন, “যদি কোনও ব্যক্তি রেস্তোরাঁয় গিয়ে দুটি চিংড়ি খান, তা হলে তাঁকে ছয়টি চিংড়ি পরিবেশন করা হবে কেন? দুটি ইডলির বদলে চারটে কেন? এই খাবার সম্পূর্ণ নষ্ট হয়। আর নষ্ট খাবারের জন্যও সম্পূর্ণ বিলই দিতে হয় ওই ব্যক্তিকে।” সূত্রের খবর, হোটেল এবং রেস্তোরাঁয় কত পরিমাণ খাবার পরিবেশন করা হয় গ্রাহকদের, তা নিয়ে একটি খসড়া তৈরি করতে চলেছে ওই মন্ত্রক। তবে প্রাথমিক ভাবে এই নিয়ম কার্যকর করার কথা ভাবা হচ্ছে শুধুমাত্র পাঁচতারা হোটেল এবং রেস্তোরাঁয় ক্ষেত্রে।
২০১৩ গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স (জিএইচআই)-র তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে খাবার নষ্টের তালিকায় ৬৩তম স্থানে রয়েছে ভারত। এমনকী শ্রীলঙ্কা (৪৩), নেপাল (৪৯), পাকিস্তান (৫৭), বাংলাদেশ (৫৮) থেকেও অনেক পিছিয়ে রয়েছে ভারত। ২০১৪ ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের আর একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, এ দেশের মোট উত্পাদিত খাদ্যের ৪০ শতাংশ নষ্ট হয়েছে। যার বাজার মূল্য ৮৩০ কোটি ডলার।