দু’বছর পূর্তিতে মোদীর নজর অখিলেশ-রাজ্যে

সরকারের দু’বছরের কাজকে সামনে রেখে নরেন্দ্র মোদী এ বার ‘মিশন-উত্তরপ্রদেশ’-এ। আগামিকালই মোদী সরকারের দু’বছর পূর্তি উৎসব। আর সেটিকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রী মোদী পৌঁছে যাচ্ছেন উত্তরপ্রদেশের সহারনপুরে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০১৬ ০৩:১০
Share:

সরকারের দু’বছরের কাজকে সামনে রেখে নরেন্দ্র মোদী এ বার ‘মিশন-উত্তরপ্রদেশ’-এ।

Advertisement

আগামিকালই মোদী সরকারের দু’বছর পূর্তি উৎসব। আর সেটিকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রী মোদী পৌঁছে যাচ্ছেন উত্তরপ্রদেশের সহারনপুরে। বছর কয়েক আগেও যে অঞ্চল শিরোনামে এসেছিল গোষ্ঠী সংঘর্ষের জন্য। বিজেপি সূত্রের মতে, সেখানে গিয়ে মোদী কোনও সাম্প্রদায়িক কথা বলবেন না। দু’বছরে কেন্দ্রের উন্নয়ন-যজ্ঞের সাফল্য মেলে ধরে নির্বাচনী প্রচারটি কার্যত শুরু করে দেবেন।

এখানেই শেষ নয়। পরশু থেকে মোদী সরকারের দু’বছরের সাফল্য প্রচার করতে মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়করা গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়বেন। তবে তাঁদের অধিকাংশেরই নজর থাকবে উত্তরপ্রদেশের দিকে। রাজনাথ সিংহ, সুষমা স্বরাজ, নিতিন গডকড়ী, স্মৃতি ইরানির মতো কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা আগামী ১৫ দিনে সে রাজ্যে প্রচার করবেন। আগামী মাসে এই উত্তরপ্রদেশেই জওহরলাল নেহরুর স্মৃতি বিজড়িত ইলাহাবাদে দু’দিন ধরে হবে বিজেপির কর্মসমিতির বৈঠক।

Advertisement

বিজেপি সূত্রের মতে, পাঁচ রাজ্যের ভোটের ফলের পর কংগ্রেস এখনও ঘর গোছাতে পারেনি। এই অবস্থায় বিজেপি এখন থেকেই দেশের সব থেকে বড় রাজ্যে নির্বাচনী প্রস্তুতিতে এগিয়ে থাকতে চাইছে। এ বারের ভোটে অনেক রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক যখন মায়াবতীকে এগিয়ে রাখছে। তবু বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ আজ ঘোষণা করেছেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টিই আমাদের প্রধান প্রতিপক্ষ। কারণ, নিচু তলায় যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করেছে সমাজবাদী পার্টি।’’ বিজেপি সভাপতির মতে, উত্তরপ্রদেশের নির্বাচন অসমের মতো এত কঠিন হবে না। এক তো অসম জয়ের পর দলে উৎসাহ তৈরি হয়েছে। তার উপরে দলের ৭৩ জন সাংসদ রয়েছেন উত্তরপ্রদেশে। রাজ্যে নিচু তলা পর্যন্ত জমিও তৈরি রয়েছে দলের। অমিতের কথায়, ‘‘দলিত ও সমাজের পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ও দল নিরন্তর কাজ করে চলেছে। তার সুফলও পাওয়া যাবে উত্তরপ্রদেশে।’’

তবে অসমের মতো উত্তরপ্রদেশে কাউকে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ করে লড়া হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত এখনই নিতে পারছে না দল। দলের ওবিসি মুখ কেশব প্রসাদ মৌর্যকে রাজ্যে দলের সভাপতি করা হয়েছে। তবে উত্তরপ্রদেশের মতো বড় রাজ্যে এক-এক প্রান্তে এক এক ধরনের বৈশিষ্ট্যের জন্য কোনও এক জনকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করে এগোনো ঠিক কৌশল হবে কি না, তা-ও ভেবে দেখছেন বিজেপি নেতৃত্ব। অমিতের মতে, ‘‘সব রাজ্যের কৌশল এক নয়। অসমে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করে সাফল্য এসেছে। অনেক রাজ্যে আবার কাউকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তুলে না ধরেও বিজেপি সফল হয়েছে।’’

তবে কংগ্রেস যদি প্রিয়ঙ্কার মতো কোনও মুখকে সামনে এনে বাজি মারতে চায়? এই প্রশ্নে অমিতের জবাব, ‘‘আগে তো হোক। কংগ্রেস তো এখনও হারই হজম করতে পারেনি। আমরা কংগ্রেস-মুক্ত ভারত গড়ার কথা বলি। আমরা চাই, বিভিন্ন রাজ্য থেকে কংগ্রেসের সরকার বিদায় নিক। সঙ্গে আমরা এটাও চাই যে, কংগ্রেসের সময়কার অব্যবস্থা, দুর্নীতি থেকেও মুক্ত হোক দেশ। মোদী সরকার গত দু’বছর ধরে এই অব্যবস্থা থেকেই দেশবাসীকে মুক্তি দেওয়ার পথে হাঁটছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement