National News

রাজীব গাঁধীর ‘১৫ পয়সা’ তত্ত্ব তুলে কংগ্রেসকে বিঁধলেন মোদী

এত দিন ধরে যে দুর্নীতি চলে এসেছে এ বার সেগুলোকে বন্ধ করার চেষ্টা করছে তাঁর সরকার। মোদী বলেন, “কংগ্রেস শুধু লুঠ করেছে তা নয়, ৮৫ শতাংশ লুঠকে প্রযুক্তির সাহায্যে ১০০ শতাংশ করেছে।”

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০১৯ ১৭:৩৭
Share:

নরেন্দ্র মোদী। ফাইল চিত্র।

যে দুর্নীতির তিরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বার বার ঘায়েল করার চেষ্টা করছে কংগ্রেস, এ বার সেই তিরেই তাদেরকে পাল্টা বিঁধলেন মোদী। নাম না করে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গাঁধীর ‘১৫ পয়সার’ মন্তব্যের উদাহরণ তুলে ধরলেন। বুঝিয়ে দিতে চাইলেন দুর্নীতি তাঁর জমানাতে নয়, দুর্নীতির ‘আঁতুর ঘর’ ছিল কংগ্রেস জমানাই।

Advertisement

১৯৮৫ সালে তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গাঁধী বলেছিলেন পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য এক টাকা বরাদ্দ করলে তার মধ্যে প্রকৃতপক্ষে ১৫ পয়সা তাঁদের কাছে পৌছয়। এই প্রসঙ্গ টেনে এনেই মোদীর কটাক্ষ, আজ যাঁরা ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ বলে চিত্কার করছেন, তা হলে সেই জমানায় কী হয়েছিল? তখন তো বরাদ্দের ৮৫ শতাংশ টাকাই গায়েব হয়ে যেত! তার পরেও সেই দল দেশ শাসন করে গিয়েছে। তার সঙ্গে সঙ্গে দুর্নীতিও সমান তালে চলে এসেছে। মঙ্গলবার বারাণসীতে প্রবাসী ভারতীয়দের একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন মোদী। সেখানে গিয়েই দুর্নীতি নিয়ে এ ভাবে পাল্টা আক্রমণ করেন কংগ্রেসকে।

এত দিন ধরে যে দুর্নীতি চলে এসেছে এ বার সেগুলোকে বন্ধ করার চেষ্টা করছে তাঁর সরকার। মোদী বলেন, “কংগ্রেস শুধু লুঠ করেছে তা নয়, ৮৫ শতাংশ লুঠকে প্রযুক্তির সাহায্যে ১০০ শতাংশ করেছে।” কিন্তু বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর এই সব কিছু বন্ধ হয়েছে। বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে দেশবাসীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছে দিয়েছে তাঁদেরই সরকার, দাবি মোদীর। বলেন, “৫ লক্ষ ৮০ হাজার কোটি টাকা বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা দিয়েছে সরকার। কিন্তু পুরনো নিয়মেই যদি দেশ চলত, তা হলে কী হত এক বার ভাবুন তো? ওই টাকার মধ্যে ৪ লক্ষ ৫০ হাজার কোটি টাকাই গায়েব হয়ে যেত!”

Advertisement

আরও পড়ুন: রাতে হঠাৎ শিবরাজের বাড়িতে জ্যোতিরাদিত্য! রুদ্ধদ্বার বৈঠক ঘিরে জল্পনা

আরও পড়ুন: মমতা নাকি মায়াবতী, প্রধানমন্ত্রী পদে কাকে পছন্দ? অখিলেশ বললেন...

মোদীর প্রশ্ন, তখনও তো সরকারের টাকা ছিল। বিভিন্ন দফতর ছিল। মানুষের চাহিদা ছিল। তার পরেও কেন কিছু হয়নি? আবারও তিনি মনে করিয়ে দেন, হয়নি কারণ তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছিলেন গ্রামের জন্য বরাদ্দ এক টাকার মধ্যে মাত্র ১৫ পয়সাই পৌঁছয়।

(কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, গুজরাত থেকে মণিপুর - দেশের সব রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদেরদেশবিভাগে ক্লিক করুন।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement