সৌজন্য। সুজুকি মোটোরের কর্তা ওসামু সুজুকির (বাঁ দিকে) সঙ্গে মোদী। ছবি: পিটিআই
জাপান সরকারের কাছ থেকে বিপুল লগ্নির প্রতিশ্রুতি আদায়ের পরে সে দেশের শিল্পমহলের মন জয়ের চেষ্টাতেও ত্রুটি রাখলেন না নরেন্দ্র মোদী। সূর্যোদয়ের দেশে শিল্পপতিদের সামনে ভারতকে তুলে ধরলেন লগ্নির আকর্ষণীয় গন্তব্য হিসেবে। দাবি করলেন, লাল ফিতের ফাঁস এখন অতীত। লগ্নির জন্য বরং এখন এ দেশে অপেক্ষা করবে লাল কার্পেটের অভ্যর্থনা।
মঙ্গলবার জাপানি শিল্পপতিদের সামনে আগামী দিনের ভারত সম্পর্কে নিজের ভাবনা তুলে ধরতে গিয়ে আগাগোড়া উৎপাদন শিল্পে জোর দেন মোদী। আহ্বান জানান এ দেশে কারখানা গড়তে। তাঁর দাবি, ভারতে কম খরচে দক্ষ কর্মীর জোগান প্রচুর। ব্যবসা করা সুবিধাজনক। তার উপর উদার অর্থনীতির জমানায় অপেক্ষা করে আছে ১২৫ কোটি মানুষের বিশাল বাজার। ফলে কারখানা গড়ে পণ্য তৈরি লাভজনক হবে জাপানি সংস্থাগুলির পক্ষে।
ভবিষ্যতে উৎপাদিত প্রায় সব পণ্যের গায়ে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ (ভারতে তৈরি) তকমা সেঁটে থাকার স্বপ্নের কথা প্রায়ই বলেন মোদী। সেই প্রসঙ্গ তুলে এ দিনও তিনি বলেছেন, ভারতে সমুদ্র-বন্দর আছে। ঢেলে সাজছে পরিকাঠামো। গণতন্ত্র সুরক্ষিত। তাই বিশ্বের অন্যতম সম্ভাবনাময় বাজারে লগ্নির ঝুলি হাতে পা রাখার জন্য জাপানি শিল্পপতিদের আর্জি জানান তিনি।
উল্লেখ করেছেন নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রের কথাও। যেমন, বড় শিল্পের তুলনায় জাপান থেকে ছোট ও মাঝারি শিল্পের লগ্নি টানতেই বেশি আগ্রহী তিনি। বলেছেন, ভারত সফটওয়্যারে দক্ষ, আর জাপান হার্ডওয়্যারে। ফলে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে মিলিত ভাবে বহু দূর এগোতে পারে দুই দেশ। এ দিন জাপানে টিসিএসের প্রযুক্তি ও সংস্কৃতি কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন মোদী। তাঁর সফর চলাকালীন সুজুকিও জানিয়েছে, ২০১৭-র মধ্যে গুজরাতে কারখানা গড়া শেষ করবে তারা।