দিল্লি বিমানবন্দরে সিপিএম সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। পিটিআই
জম্মুর বেশ কিছু এলাকায় নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিল প্রশাসন।বৃহস্পতিবার জম্মুর দোদা, কিস্তওয়ার, রম্বন, রাজৌরি ও পুঞ্চ জেলায় মোবাইল ফোনের পরিষেবা চালু করে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের দাবি, ধীরে ধীরে রাস্তায় বাড়ছে গাড়িঘোড়া, বাড়ছে অফিসে হাজিরাও। রাজ্যপাল সত্যপাল সিংহ জানিয়েছেন, কাশ্মীরে ১১১টি পুলিশ স্টেশনের ৮১টি দিনের বেলায় নিরাপত্তার কড়াকড়ি শিথিল করা হয়েছে।এই আবহেই কাশ্মীরে পা রাখতে চলেছেন সিপিএম সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। এ দিন সকালেই ইয়েচুরি দিল্লি থেকে শ্রীনগর বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।
বুধবারই কাশ্মীরে গ্রেফতার হওয়া সিপিএম নেতা ইউসুফ তারিগামির সঙ্গে দেখা করার বিষয়ে সীতারাম ইয়েচুরি সুপ্রিম কোর্টের সম্মতি পেয়েছেন। যদিও এই সফর রাজনৈতিক নয়, তারিগামিকে দেখেই ফিরে আসতে হবে ইয়েচুরিকে।
আরও পড়ুন: কাশ্মীরে উন্নয়ন চান প্রধানমন্ত্রী, রাশ টানার চেষ্টাও বহাল
আরও পড়ুন: বিশাল মাইনের চাকরি ছেড়ে ১২০০ শিশুকে খাইয়ে চলেছেন এমবিএ পাশ মইনুদ্দিন
সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদের সিদ্ধান্ত ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই কাশ্মীরে অশান্তি এড়ানোর জন্যে নিরাপত্তার কড়াকড়ি বাড়ায় কেন্দ্র। উপত্যকায় কয়েক হাজার অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়। জারি হয় কার্ফু। রাশ টানা হয় সংবাদমাধ্যমে। এই সময়েই গ্রেফতার হন প্রায় কাশ্মীরের প্রায় ৪০০ নেতা। তাঁদের মধ্যে ইউসুফ তারিগামিও ছিলেন। গত ৯ অগস্ট তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গেলে শ্রীনগর বিমানবন্দর থেকে সীতারাম ইয়েচিুরকে ফেরানো হয়েছিল। নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে তাঁকে সে বার শ্রীনগর শহরে পা রাখতে দেওয়া হয়নি। সে বারেই শেষ নয়, রাহুল গাঁধীর নেতৃত্বে যে প্রতিনিধি দলটি শ্রীনগরে গিয়েছিল তাতেও ইয়েচুরি ছিলেন। তখনও তিনি তারিগামির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। এর পরেই তিনি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। ইয়েচুরি জানান, তাঁর দলের আড়াই দশকের বিধায়কের স্বাস্থ্য নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন। বুধবার বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, শ্রীনগর যেতে পারবেন ইয়েচুরি। কিন্তু সেখানে কোনও রকম রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হওয়া যাবে না। তিনি যেন তারিগামিরসঙ্গে দেখা করেই ফিরে আসেন।