গ্রাফিক- তিয়াসা দাস
গত জুন মাসে ঝাড়খণ্ডে তবরেজ আনসারিকে গণপিটুনি দিয়ে খুনের রেশ এখনও মিলিয়ে যায়নি।তবরেজের মৃত্যু কী ভাবে হয়েছে, তা নিয়ে বিতর্ক জারি। এর মধ্যেই ফের গণপিটুনিতে খুনের অভিযোগ উঠল ঝাড়খণ্ডেই।
অভিযোগ উঠেছে, ঝাড়খণ্ডের খুঁটির জলটাঙা গ্রামে প্রতিবন্ধী এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন আরও দু’জন। গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, রবিবার ওই তিন ব্যক্তি গরুর শব নিয়ে যাচ্ছিলেন। সে সময় তাঁদের উপর হামলা চালানো হয়। কলন্টাস বার্লা, ফাগু কচ্ছপ ও ফিলিপ হোরো নামে তিন ব্যক্তিকে গুরুতর জখম অবস্থায় রাঁচির রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কলন্টাস বার্লাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। তিন জনই আদিবাসী বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে পাঁচ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের মুক্তির দাবিতে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভও দেখান গ্রামবাসীদের একাংশ।
আরও পড়ুন: এ বার আগাম জামিনের আবেদন হাইকোর্টে, রোজভ্যালি-কাণ্ডে সময় চাইলেন রাজীব
আরও পড়ুন: এবিভিপি-র যাদবপুর অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার, মিছিল আটকাল পুলিশ, মোতায়েন বিশাল বাহিনী
গত ১৭ জুন চোর সন্দেহে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয় তবরেজ আনসারি নামে এক যুবককে। তা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় দেশ জুড়ে। ওই মামলায় মোট ১১ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল। কিন্তু, সম্প্রতি তবরেজ আনসারি মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুনের ধারা প্রত্যাহার করায় ফের বিতর্ক দানা বাঁধে।তবরেজের পোস্টমর্টেম রিপোর্টে বলা হয়, তাঁর মৃত্যু হয়েছে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে। গণপিটুনিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা না দিলে, তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নেবেন বলে পাল্টা হুঁশিয়ারি দেন তবরেজের স্ত্রী শাহিস্তা পারভিন।