#MeeToo

মিটু-র জের, এ বার ‘এডিটর্স গিল্ড অফ ইন্ডিয়া’-র সদস্যপদ গেল আকবরের

রাজনীতিতে পা রাখার আগে দেশের প্রভাবশালী সাংবাদিকদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন এমজে আকবর।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০১৮ ২১:১৬
Share:

এম জে আকবর।—ফাইল চিত্র।

যৌন নির্যাতনের অভিযোগে ছাড়তে হয়েছে মন্ত্রিত্ব। এ বার ‘এডিটর্স গিল্ড অফ ইন্ডিয়া’(ইজিআই) থেকেও নাম কাটা গেল এমজে আকবরের। তাঁর বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এনেছেন একাধিক মহিলা সাংবাদিক। এমনকি ধর্ষণের অভিযোগও উঠেছে। তার মধ্যে যে মামলাগুলি আদালতে উঠেছে, যতদিন পর্যন্ত সেগুলির নিষ্পত্তি না হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত গিল্ডে ওই সাসপেন্সন জারি থাকবে। তবে শুধুমাত্র এমজে আকবর নন, যৌন নির্যাতনে অভিযুক্ত ‘তেহলকা’ পত্রিকার প্রাক্তন সম্পাদক তরুণ তেজপালের বিরুদ্ধেও একই পদক্ষেপ করা হয়েছে।

Advertisement

ওই সংগঠনের তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয়,‘এম জে আকবরের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা যায়, তা গিল্ডের এগজিকিউটিভ কমিটির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল। তাঁদের বেশিরভাগই আকবরের সদস্যপদ সাসপেন্ড করার পক্ষে মত দেন। সেই সঙ্গে তরুণ তেজপাল এবং গৌতম অধিকারীর বিরুদ্ধেও একই পদক্ষেপ করার দাবি ওঠে। বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখে সংখ্যাগরিষ্ঠের দাবিই মেনে নেওয়া হয়েছে।’

তবে অভিজ্ঞ সাংবাদিক গৌতম অধিকারীর সদস্যপদ এখনও পর্যন্ত বাতিল করেনি ইজিআই। তাঁকে শো কজ করা হয়েছে। জবাব এলে তার পরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Advertisement

ইজিআইয়ের বিবৃতি।

আরও পড়ুন: ভোটের ফলে টনক নড়ল, কৃষিঋণ মকুবের ভাবনা!​

আরও পড়ুন: ছিন্দওয়াড়ার মসিহা, নাকি গ্বালিয়রের মহারাজা, মুখ্যমন্ত্রী কে? বল সেই রাহুলের কোর্টেই​

রাজনীতিতে পা রাখার আগে দেশের প্রভাবশালী সাংবাদিকদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন এমজে আকবর। কিন্তু তাঁকে ঘিরে বিতর্ক মাথাচাড়া দেয় এ বছরের শুরুতে, যখন একে একে মোট ২০ জন মহিলা সাংবাদিক তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনুকরণে এ দেশেও তখন #মিটু আন্দোলন তুঙ্গে। তাই বিষয়টি নিয়ে তুমুল সমালোচনা শুরু হয়। যার জেরে মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন আকবর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement