২০১৪ সাল থেকে চোদ্দো বছরের এক কিশোরীর খোঁজ মিলছিল না। প্রতীকী ছবি।
ন’বছর পর জীবিত হয়ে উঠলেন একদা ‘প্রয়াত’ এক কিশোরী। বাবার সাহায্যে বোনকে খুনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন মধ্যপ্রদেশের এক ব্যক্তি। ওই একই অপরাধে জেলে কাটিয়েছেন কিশোরীর বাবা। তবে ন’বছর পর জানা গেল, নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্য শহরে সংসার পেতেছেন সে দিনের ‘মৃত’ মেয়েটি। শুক্রবার সংবাদমাধ্যম সূত্রে এমনই দাবি করা হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ২০১৪ সাল থেকে কাঞ্চন উইকে নামে চোদ্দো বছরের এক কিশোরীর খোঁজ মিলছিল না। কিশোরী মেয়ের নিখোঁজ হওয়ায় অভিযোগে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়াড়া জেলার বাসিন্দা কাঞ্চনের বাবা। তদন্তে নেমে এলাকায় চিরুনিতল্লাশি শুরু করেছিল পুলিশ। তবে দীর্ঘ দিন পেরিয়ে গেলেও মেয়েটির খোঁজ মেলেনি।
পুলিশের দাবি ছিল, মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে কাঞ্চনকে খুন করেছেন তার দাদা। এ অপরাধে শামিল ছিলেন তার বাবাও। এমনকি, দু’জনে মিলে কাঞ্চনকে খুনের পর একটি আমবাগানে তার দেহ পুঁতে দেন। খুনের অভিযোগে ২০২১ সালে কিশোরীর দাদা ও বাবাকে গ্রেফতার করেছিল মধ্যপ্রদেশ পুলিশ। এমনকি, জেরায় যে তাঁরা নিজেদের অপরাধ স্বীকার করেছেন, সে দাবিও করেছিলেন তদন্তকারীরা। বছরখানেক জেল খাটার পর জামিনে ছাড়া পেয়েছিলেন কাঞ্চনের বাবা।
সংবাদমাধ্যমের দাবি, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঝগড়া হওয়ায় বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন সে দিনের কিশোরী কাঞ্চন। বুধবার তাঁর খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। বছর তেইশের যুবতী পরে উজ্জয়িনী শহরে সংসারও পেতেছেন। সে দিনের কিশোরী আজ দু’সন্তানের জননী।
পরিবারের দাবি, পারিবারিক কবরখানা থেকে একটি কঙ্কাল উদ্ধার করেছিল পুলিশ। তাতেই ভুল করে তদন্তকারীদের মনে হয়েছিল, সেটি কাঞ্চনের কঙ্কাল। তাঁর ‘খুনে’র সাজা হিসাবে দাদা যে জেলে রয়েছেন, সে সম্পর্কে ধারণা ছিল না কাঞ্চনের। তবে কোন প্রমাণের ভিত্তিতে কাঞ্চনের খুনি হিসাবে তাঁর দাদা এবং বাবাকে জেলে পাঠানো হল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।