বিহার থেকে রাজ্যসভায় যাচ্ছেন আইনজীবী রাম জেঠমলানী। লালুপ্রসাদের দল আরজেডির সমর্থনে রাজ্যসভার প্রার্থী হচ্ছেন তিনি। রাম জেঠমলানী ছাড়াও রাজ্যসভায় আরজেডি প্রার্থী হচ্ছেন লালুপ্রসাদের বড় মেয়ে মিসা ভারতী। আগামী কাল দু’জনই মনোনয়ন জমা দেবেন। জেডিইউ রাজ্যসভায় প্রার্থী করছে দলের প্রাক্তন সভাপতি শরদ যাদব এবং আর সি পি সিংহকে।
১১ জুন বিহারের ৫টি রাজ্যসভা আসনের জন্য নির্বাচন হবে। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ৩১ মে। আরজেডি দু’টি আসনে এবং জেডিইউ কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে দু’টি আসনে জিততে পারবে। বাকি একটি আসন যাবে বিজেপির তরফে। বিজেপিও আজ দলের রাজ্যসভার মনোনয়ন তালিকা প্রকাশ করেছে। বিহার থেকে প্রার্থী হচ্ছেন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি গোপালনারায়ণ সিংহ। বিধান পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হবেন অনিল সাহনি।
আরজেডি সূত্রে খবর, লালুপ্রসাদের ইচ্ছা ছিল স্ত্রী রাবড়িদেবী এবং প্রাক্তন সাংসদ তথা বাহুবলী নেতা সাহাবুদ্দিনের স্ত্রী হিনা সাহিবকে রাজ্যসভায় পাঠাতে। কিন্তু সিওয়ানে সাংবাদিক হত্যায় সাহাবুদ্দিনের নাম জড়ানোয় সেই সিদ্ধান্ত বদলান। কয়েক মাস ধরেই বিজেপির বিরোধিতায় সরব হয়েছেন রাম জেঠমলানী। প্রথমে লালকৃষ্ণ আডবাণী এবং পরে নরেন্দ্র মোদীর সমালোচনা করেন তিনি। পশুখাদ্য মামলায় সুপ্রিম কোর্টে লালুপ্রসাদের জামিনের পিছনেও তাঁর ভূমিকা রয়েছে। সে কারণেই লালুর সঙ্গে সখ্যতা বাড়ে জেঠমলানীর।
তার পরিপ্রেক্ষিতেই হিনা সাহিবের নাম বাদ দিয়ে তাঁর নাম সামনে নিয়ে আসেন লালু। দলের নেতাদের তিনি বুঝিয়েছেন, বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে জেঠমলানী সংসদে সক্রিয় হলে তার ফল বিহারের লোকসভা নির্বাচনে পাওয়া যাবে। তবে পরিবারের ভিতরের বিবাদ সামাল দিতে কিছুটা বাধ্য হয়েই স্ত্রী রাবড়িদেবীর জায়গায় বড় মেয়ে মিসা ভারতীকে পাঠাচ্ছেন লালু। কেননা, রাবড়িদেবী এখনও বিধান পরিষদের সদস্য। তাই মিসাকে রাজ্যসভায় পাঠিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে তাঁর গুরুত্ব বাড়াতে চাইছেন। ইতিমধ্যেই দুই ছেলেকে বিহারের মন্ত্রী করেছেন তিনি। পরিবারের ভারসাম্য রাখতে মিসাকে দিল্লি পাঠাতে চান। সাহাবুদ্দিনের স্ত্রী হিনা সাহিবকে বিধান পরিষদের আসন দিতে চেয়েছেন লালু। যদিও এখনও পর্যন্ত বিধান পরিষদের আসনে দাঁড়াতে রাজি নয় বলেই জানিয়েছেন হিনা।