মন্ত্রীদের প্রশ্ন করলে, তথ্যের অধিকার আইনের আওতায় তাঁরা উত্তর দিতে বাধ্য বলে জানাল কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন। অর্থাৎ, কিছু জানতে চাওয়ার হলে সরাসরি ওই দফতরের মন্ত্রীর কাছেই জবাব চাওয়া যায়। উত্তর দেওয়ার দায়িত্ব তাঁরই দফতরের অফিসারের। তথ্য কমিশনের মন্তব্য, জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনিক পদে থাকার সুবাদে এটা নিশ্চিত করার দায় বর্তায় মন্ত্রীদের উপরেই।
কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রকের কাছে আহমেদনগরের এক ব্যক্তি জানতে চেয়েছিলেন— কেন্দ্রের বা রাজ্যের মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার বিশেষ সময় আছে কি না। ওই ব্যক্তিকে বলা হয়, ‘‘সোজাসুজি মন্ত্রীর কাছ থেকে এর উত্তর জেনে নিন।’’ শেষে সময় জানতে চেয়ে আরটিআই করেন তিনি। এ নিয়ে শুনানি চলাকালীন তথ্য কমিশনার শ্রীধর আচার্যুলু বলেন, ‘‘এটা দুর্ভাগ্যের যে এটুকু জানতেও আরটিআই করতে হচ্ছে। প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ এই ব্যবহার করতে পারেন না। পরিকাঠামোর অভাবকে দায়ী করে দায়িত্ব এড়ানো যায় না।’’
এই মামলা সূত্রে রামরাজ্যের উদাহরণও টেনেছেন আচার্যুলু। তাঁর কথায়, ‘‘মহাকাব্যে লেখা আছে, রামের প্রাসাদের ফটকে বড় ঘণ্টা ঝোলানো থাকত। প্রজারা অসুবিধেয় পড়লে এসে সেই ঘণ্টা বাজালে তাদের অভিযোগ শুনতে বেরিয়ে আসতেন রাম।’’ এ যুগেও সমস্যা মেটাতে মন্ত্রীদের মন্ত্রগুপ্তির শপথ না নিয়ে স্বচ্ছতার নামে শপথ নেওয়া উচিত বলে কটাক্ষ করেছেন কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনার।