College Service Commission

Ankita Adhikary: মন্ত্রী-কন্যা অঙ্কিতার ‘নজর’ ছিল কলেজ শিক্ষকতায়, ২৬ এপ্রিল দিয়েছিলেন ইন্টারভিউ?

হাই কোর্টের নির্দেশে সদ্য স্কুল শিক্ষকতার চাকরি খুইয়েছেন। এ বার সামনে এল পরেশ-কন্যার কলেজ শিক্ষিকা হওয়ার পথে ‘পা বাড়ানোর’ তথ্য।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০২২ ১৫:৩৫
Share:

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

স্কুল সার্ভিস কমিশনে (এসএসসি) নিয়োগ ঘিরে বিতর্কের মাঝেই কলেজ সার্ভিস কমিশনের ইন্টারভিউ তালিকায় মন্ত্রী-কন্যা অঙ্কিতা অধিকারী।গত ২৬ এপ্রিল কলেজ সার্ভিস কমিশনের তরফে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ইন্টারভিউ ছিল। লিখিত পরীক্ষায় নির্বাচিত প্রার্থীদের জন্য রাজারহাটে সংস্থার দফতরে হয়েছিল ইন্টারভিউয়ের ব্যবস্থা। সেই তালিকায় নাম ছিল রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতার। রেজিস্ট্রেশন নম্বর ২০১০৩৩১০। কলেজ সার্ভিস কমিশনের ওয়েবসাইটেও রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক পদে ইন্টারভিউয়ের ওই তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। তাতে রেজিস্ট্রেশন নম্বর-সহ নাম রয়েছে অঙ্কিতার। তবে তিনি শেষ পর্যন্ত ইন্টারভিউ দিয়েছিলেন কি না, তা স্পষ্ট নয়।

Advertisement

তবে আইনি দিক দিয়ে অঙ্কিতার ওই আবেদন করার মধ্যে কোনও অস্বাভাবিকতা নেই। স্কুল শিক্ষিকার চাকরি করতে করতে যোগ্যতা থাকলে যে কেউই কলেজে চাকরির জন্য আবেদন করতে পারেন। যেমন একটি চাকরি করতে করতে যোগ্যতা সাপেক্ষে অন্য কোনও চাকরির আবেদন করা যায়। তাতে রীতি বা আইনগত কোনও বাধা নেই। ফলে অঙ্কিতার স্কুলে নিয়োগ নিয়ে যতই বিতর্ক থাকুক বা আদালত তাঁর সম্পর্কে যেমনই রায় দিয়ে থাকুক, অন্যত্র চাকরির আবেদন করতে তাঁর কোনও বাধা নেই। শুধু তা যাবতীয় আইন এবং নিয়মনীতি মেনে অন্যদের মতোই করতে হবে। কিন্তু এসএসসি-র নিয়োগ নিয়ে অঙ্কিতা ইতিমধ্যেই বিপাকে পড়ায় তাঁর কলেজে চাকরির পরীক্ষা ইত্যাদি নিয়েও জল্পনা তৈরি হয়েছে। প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে রাজনৈতিক বিরোধীরাও।

ঘটনাক্রম থেকে স্পষ্ট, স্কুলে শিক্ষকতা করার সময়ই কলেজে শিক্ষকতার জন্য আবেদন করেছিলেন অঙ্কিতা। তবে বিরোধীদের প্রশ্ন— অঙ্কিতা কি নিয়ম মেনে ‘প্রকৃত মেধাতালিকার’ মাধ্যমেই ইন্টারভিউয়ের তালিকাভুক্ত হয়েছিলেন?

Advertisement

মন্ত্রী-কন্যা অঙ্কিতার বিরুদ্ধে তাঁর বাবার ‘প্রভাব’ খাটিয়ে অবৈধ ভাবে শিক্ষকতার চাকরি নেওয়ার অভিযোগ ছিল। অভিযোগ করেছিলেন ববিতা সরকার নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী। ২০১৭ সালের নভেম্বরে এসএসসি পরীক্ষার দ্বিতীয় মেধাতালিকায় অঙ্কিতার নাম উঠেছিল। অভিযোগ, প্রথম মেধাতালিকায় প্রথম ২০ জনের মধ্যে না থাকা অঙ্কিতাকে দ্বিতীয় তালিকায় নিয়ম ভেঙে একেবারে প্রথমে নিয়ে আসা হয়েছিল। ওই মেধাতালিকার ২০ নম্বরে যে এসএসসি পরীক্ষার্থীর নাম ছিল, তাঁর থেকেও ১৬ নম্বর কম পেয়েছিলেন অঙ্কিতা। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৬১। যেখানে ২০ নম্বরে থাকা পরীক্ষার্থী ববিতার নম্বর ছিল ৭৭। অঙ্কিতার নাম মেধাতালিকায় ঢোকানোয় ববিতা চাকরির সুযোগ হারান।

গত শুক্রবার ওই মামলায় অঙ্কিতাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট । অঙ্কিতা নিজেকে ‘শিক্ষক’ হিসাবে পরিচয় দিতে পারবেন না বলেও নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পাশাপাশি, আদালতের নির্দেশে আরও বলা হয়, তিনি আর ওই স্কুলে ঢুকতে পারবেন না!

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement