National News

রাহুলের পাশে তরুণ ব্রিগেড, দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন মিলিন্দ দেওরা, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া

গত ২৬ জুন রাহুল গাঁধীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন মিলিন্দ। কংগ্রেস সূত্রে খবর, তখনই পদত্যাগের ইচ্ছে প্রকাশ করেন। কিন্তু সেই সময় রাহুলই তাঁকে ইস্তফা দিতে নিষেধ করেন বলেও দলের একটি সূত্রে খবর।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই ও লখনউ শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০১৯ ২০:৫০
Share:

মিলিন্দ দেওরা (বাঁ দিকে) ও জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। —ফাইল চিত্র

রাহুল গাঁধীর ইস্তফার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হতেই কংগ্রেসের তরুণ ব্রিগেডের মধ্যে পদত্যাগের হিড়িক। মুম্বই কংগ্রেসের সভাপতির পদ ছাড়লেন মিলিন্দ দেওরা। অন্য দিকে উত্তরপ্রদেশ পশ্চিমাঞ্চলের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। মুখে না বললেও রাহুলের পাশে দাঁড়াতেই যে দুই রাজ্যের দুই নেতার এই সিদ্ধান্ত, তা প্রায় স্পষ্ট। অন্য দিকে তরুণ নেতাদের এই অবস্থান দলের প্রবীণ নেতাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের ইঙ্গিত কিনা, উঠছে সেই প্রশ্নও।

Advertisement

লোকসভা ভোটের মুখেই মিলিন্দ দেওরাকে মুম্বই কংগ্রেসেরে দায়িত্ব দিয়েছিলেন রাহুল গাঁধী। রবিবার প্রথমে মুম্বই কংগ্রেসের সভাপতি প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুরলি দেওরার ছেলে মিলিন্দ দেওরা। এ বছরের শেষের দিকে মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচন। পদত্যাগের পর মিলিন্দ জানিয়েছেন, আগামী বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত মুম্বই কংগ্রেসের তিন বর্ষীয়ান নেতাকে দলের কাজকর্ম সামলানোর কথা বলেছেন। একই সঙ্গে তাঁর ঘোষণা, দলকে শক্তিশালী করতে জাতীয় স্তরে দলের কোনও দায়িত্ব নিতে চান তিনি। সেই কারণেই তাঁর ইস্তফা।

গত ২৬ জুন রাহুল গাঁধীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন মিলিন্দ। কংগ্রেস সূত্রে খবর, তখনই পদত্যাগের ইচ্ছে প্রকাশ করেন। কিন্তু সেই সময় রাহুলই তাঁকে ইস্তফা দিতে নিষেধ করেন বলেও দলের একটি সূত্রে খবর। কিন্তু তার কয়েক দিনের মধ্যেই সেই মিলিন্দ ইস্তফা দিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানিয়েছেন, পদত্যাগের সিদ্ধান্ত দলের কার্যকরী কমিটির দুই নেতা মল্লিকার্জুন খড়্গে এবং কে সি বেণুগোপালকেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

পদত্যাগের পর সংবাদ মাধ্যম যোগাযোগ করলে মিলিন্দ বলেন, ‘‘লোকসভা নির্বাচনের পর রাজনৈতিক বাস্তবতা অনেক পাল্টে গিয়েছে। এই কঠিন সময়ে দলের যেমন প্রয়োজন মনে করবে, আমাদের সেই রকম দায়িত্ব নেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’’

আরও পড়ুন: সব্যসাচীকে অকেজো করে বিধাননগরের কাজ সামলাতে বলা হল ডেপুটি মেয়র তাপসকে

আরও পডু়ন: কাটমানির অভিযোগের জের, সেই প্রোমোটারের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা ঠুকলেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন

প্রায় মিলিন্দ দেওরার মতোই লোকসভা ভোটের আগে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার উপর বর্তে দিয়েছিলেন রাহুল গাঁধী। পূর্বের দায়িত্ব পান প্রিয়ঙ্কা গাঁধী। কিন্তু রবিবার মিলিন্দের ইস্তফা দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই উত্তরপ্রদেশ পশ্চিমের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মাধব রাজে সিন্ধিয়ার ছেলে জ্যোতিরাদিত্য। টুইটারে জ্যোতিরাদিত্য লিখেছেন, ‘‘জনগণের রায় মেনে নিয়ে এবং হারের দায় নিয়ে এআইসিসির থেকে সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে ইস্তফা দিতে চিঠি পাঠিয়েছি রাহুল গাঁধীকে। আমাকে এই দায়িত্ব দেওয়ার জন্য জন্য কাজ করার সুযোগ দেওয়ায় রাহুল গাঁধীকে ধন্যবাদ জানাই।

অর্থাৎ রাহুল গাঁধী ইস্তফা দেওয়ার পরও তাঁর কাছেই পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন জ্যোতিরাদিত্য। রাহুলও কার্যত নিজের মিলিন্দ, জ্যোতিরাদিত্যদের নিয়ে ঘনিষ্ঠ বৃত্ত তৈরি করেছিলেন। ফলে রাজনৈতিক শিবিরের পর্যবেক্ষণ, কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে রাহুলের পদত্যাগ মেনে নিতে পারেননি কংগ্রেসের তরুণ-তুর্কিরা। তাঁর পদত্যাগ সমর্থন করে পাশে দাঁড়াতেই দুই তরুণ নেতা ইস্তফা দিলেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement