এ ভাবেই কুচি কুচি করে অজস্র নোট কেটেছে ইঁদুরেরা। ছবি: টুইটারের সৌজন্যে।
মাত্র একটি রাত। তার মধ্যে ১২ লক্ষেরও বেশি টাকা সাবড়ে দিল ইঁদুরের দল। অসমের তিনসুকিয়া জেলায় স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার একটি এটিএমে হানাদারি চালিয়েছে তারা। সোশ্যাল মি়ডিয়ায় তা জানাজানি হতেই রী়তিমতো ভাইরাল বিষয়টি। ঘটনার গুরুত্ব নিয়ে অনেকেই হতবাক। অনেকে আবার তা নিয়ে সরস টীকা-টিপ্পনি করতেও ছাড়েননি।
যাবতীয় বিপত্তির সূত্রপাত তিনসুকিয়া জেলার লাইপুলি এলাকায় একটি এটিএম মেশিনে। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, যান্ত্রিক বিভ্রাটের জন্য গত ২০ মে তা অকেজো হয়ে পড়েছিল। তার এক দিন আগে, অর্থাৎ ১৯ মে তাতে ২৯ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকার নোট ভরা হয়।
তিনসুকিয়া জেলার পুলিশ সুপার মুগ্ধজ্যোতি মোহন্ত জানিয়েছেন, ১১ জুন ওই এটিএম মেশিনটি সারাই করতে যান টেকনিশিয়ানরা। কিন্তু এটিএমের ডালা খুলেই তো চক্ষু চড়কগাছ। কুচি কুচি করে কাটা অজস্র নোট। সবটাই ৫০০ ও ২০০০ টাকার। সেই সঙ্গে মিলেছে একটি মরা ইঁদুরও। তবে সব নোটই সাবাড় করতে পারেনি গণেশের বাহনেরা। তাদের দাঁতের ফাঁক গলে রক্ষা পেয়েছে মোট ১৭ লক্ষ ১০ হাজার টাকা।
আরও পড়ুন
মায়ের ‘প্রেমিক’কে পিটিয়ে খুন করল ছেলে
ঘটানার কথা জানিয়ে একটি ভিডিয়ো টুইট করেন স্থানীয় সাংবাদিক নন্দনপ্রতিম শর্মা বরদলৈ। সঙ্গে সঙ্গে তা ভাইরাল হয়। এর পরই এ নিয়ে সরগরম হয় স্থানীয় মিডিয়া। সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক মন্তব্য এসে পড়ে। এক জনের সরস মন্তব্য: “ইঁদুরেরা বোধহয় নিজেরাই নোটবন্দি খেলা খেলছে।” আর এক জনের পর্যবেক্ষণ, “এটিএম মেশিনে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করেছে ইঁদুরেরা।” আর একটি মন্তব্য কেতন কুন্ডলিয়া নামে এক ব্যক্তির। তিনি বলেন, “মানি ইজ হানি, তবে ইঁদুরদের জন্য নয়।”
গোটা বিষয়টি নিয়ে যতই হাসাহাসি হোক না কেন, কী ভাবে ওই এটিএমে ইঁদুর ঢুকল তা নিয়ে তদন্তে নেমেছে অসম পুলিশ।