এম জে আকবর ও প্রিয়া রামানি।—ফাইল চিত্র।
এম জে আকবরের বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ এনেছিলেন তিনি। তার জেরে এ বার আদালতে ডাক পড়ল প্রিয়া রামানির। তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সেই প্রেক্ষিতেই তাঁকে সমন পাঠিয়েছেন দিল্লির অতিরিক্ত মুখ্য মেট্রপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সমর বিশাল।
তবে আদালতে নিজের বয়ান দিতে মুখিয়ে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রিয়া রামানি। এ দিন নিজের টুইটার হ্যান্ডলে তিনি লেখেন, ‘এ বার আমাদের সত্যিটা জানানোর সময় এসেছে।’ সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় #উইথ প্রিয়া ট্রেন্ড শুরু হয়েছে। তার জন্য শুভাকাঙ্খীদের ধন্যবাদও জানিয়েছেন তিনি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনুকরণে গতবছর ভারতে মাথাচাড়া দেয় #মিটু আন্দোলন। প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বের অশালীন আচরণ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হতে শুরু করেন একের পর এক মহিলা। মোদী সরকারের বিদেশ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী পদে থাকা এম জে আকবরের নামও তাতে জড়িয়ে পড়ে। রাজনীতিতে পা রাখার আগে দীর্ঘদিন সাংবাদিকতা করেছেন তিনি। সেইসময় একাধিক মহিলাকে হেনস্থা করেছেন বলে অভিযোগ উঠে আসে।
প্রিয়া রামানির টুইট।
আরও পড়ুন: গোটা মন্ত্রিসভা নিয়ে প্রয়াগে ডুব দিলেন যোগী আদিত্যনাথ
আরও পড়ুন: প্রাণায়ামকে অন্য নামে চালানোর চেষ্টা! ইংরেজি ওয়েবসাইটকে তুলোধনা তারুরের
আকবরের বিরুদ্ধে প্রথম মুখ খোলেন তাঁরই এককালের সহকর্মী প্রিয়া রামানি। নিজের টুইটার হ্যান্ডলে তিনি জানান, লেখক হিসাবে প্রতিভা এবং প্রভাব দুই-ই ছিল আকবরের। তাঁর অধীনে কাজ করার ইচ্ছা নিয়ে ইন্টারভিউ দিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ইন্টারভিউয়ের বদলে তাঁকে নিজের হোটেলের ঘরে ডেকে পাঠান আকবর। ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করেন। পরবর্তীকালে কাজে যোগ দিলেও, বরাবর আকবরকে এড়িয়ে চলতেন তিনি।
সেই শুরু। তার পর এম জে আকবরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ-সহ যৌন নিগ্রহ, একাধিক অভিযোগ সামনে আসে। যারে জেরে গতবছর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন তিনি। তারপরই অভিযোগকারিণীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করতে উঠেপড়ে লাগেন। প্রিয়া রামানির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন তাঁর আইনজীবী গীতা লুথর ও সন্দীপ কউর। তার ভিত্তিতেই প্রিয়া রামানিকে সমন পাঠিয়েছে আদালত।