ছেলেধরা সন্দেহে মার, হত মহিলা

ফের উন্মত্ত জনতার আক্রমণে প্রাণ গেল মানসিক ভারসাম্যহীন এক মহিলার। গত শুক্রবার রাজস্থানের অলওয়ারে আকবর খান নামের এক যুবককে পিটিয়ে মারে ‘গোরক্ষক’রা। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই গ্রামবাসীদের গণপিটুনিতে এক মহিলার মৃত্যুর খবর পাওয়া গেল মধ্যপ্রদেশ থেকে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ভোপাল শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০১৮ ০৩:০৫
Share:

—প্রতীকী ছবি।

ফের উন্মত্ত জনতার আক্রমণে প্রাণ গেল মানসিক ভারসাম্যহীন এক মহিলার। গত শুক্রবার রাজস্থানের অলওয়ারে আকবর খান নামের এক যুবককে পিটিয়ে মারে ‘গোরক্ষক’রা। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই গ্রামবাসীদের গণপিটুনিতে এক মহিলার মৃত্যুর খবর পাওয়া গেল মধ্যপ্রদেশ থেকে। পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ছেলেধরা সন্দেহে মারওয়া থানার অন্তর্গত সিংগরৌলী জেলার বারগার গ্রামে বছর তিরিশের ওই মহিলাকে পিটিয়ে মারে গ্রামবাসীরা। খুনের পর দেহটি একটি জঙ্গলে ফেলে দেয় হত্যাকারীরা। নিহতের পরিচয় জানা যায়নি। রবিবার এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ তাদের আদালতে তোলা হয়।

Advertisement

উত্তরপ্রদেশে সীমান্ত ঘেঁষা গ্রাম এই সিংগরৌলী। পুলিশ সুপার রিয়াজ ইকবাল জানিয়েছেন, গত এক মাস ধরে এলাকায় ছেলেধরা ঢুকেছে বলে গুজব ছড়িয়েছিল বিভিন্ন হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে। মানসিক ভারসাম্যহীন ওই মহিলাকে মাঝেমধ্যেই দেখা যেত এলাকায়। বৃহস্পতিবার রাতে ছেলেধরা সন্দেহে তাঁর উপর চড়াও হয় এক দল গ্রামবাসী। প্রথমে গ্রামবাসীরা তাঁকে নানা রকম প্রশ্ন করতে শুরু করে। সদুত্তর না পেয়ে তাঁকে মারধর শুরু করে। পুলিশ জানিয়েছে, হীরা সিংহ গোঁদ নামে এক ব্যক্তি ওই মহিলাকে কুড়ুল দিয়ে আঘাত করে। লাঠিসোঁটা নিয়ে তাঁকে মারে গোপাল সিংহ, দুর্গা সিংহ, দেবলাল সিংহ নামে তিন জন। প্রাণভয়ে মহিলা পালালে অভিযুক্তেরা তাড়া করে তাঁকে। একটি স্কুলের কাছে তাঁকে ঘিরে ধরে ফের হামলা চালায়। পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় আরও কয়েক জন। মহিলা মারা গেলে দেহটি টেনে নিয়ে জঙ্গলের মধ্যে একটি নালায় ফেলে দেয় তারা। শনিবার পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে। পুলিশ জানায়, অভিযুক্তরা দোষ স্বীকার করেছে। খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

গুজবের জেরে গণপিটুনি রুখতে নতুন আইন আনতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। পরিস্থিতি বদলায়নি। গত কয়েক মাস ধরে ছেলেধরা ও কিডনি চুরির ভুয়ো খবর ছড়িয়েছে মধ্যপ্রদেশের বিভিন্ন জেলায়। দিন কয়েক আগেও সিংগরৌলী জেলাতে শিশুচোর সন্দেহে মারধর করা হয় এক বনকর্মীকে। এক মাসে মধ্যপ্রদেশে চারটি গণপিটুনির অভিযোগ পেয়েছে পুলিশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement