মেহবুবা মুফতি। ছবি পিটিআই।
এক বছরেরও বেশি সময় গৃহবন্দি থাকার পর মঙ্গলবার মুক্তি পেলেন পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (পিডিপি)-র প্রেসিডেন্ট মেহবুবা মুফতি। এ দিন রাত পৌনে ১০টা নাগাদ তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়। মেহবুবার মুক্তির বিষয়টি টুইট করে জানিয়েছেন জম্মু-কাশ্মীর সরকারের মুখপাত্র রোহিত কানসাল।
ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের পর ২০১৯-এর ৫ অগস্টে জম্মু-কাশ্মীরে র তিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা, ওমর আবদুল্লা এবং মেহবুবা মুফতি-সহ কাশ্মীরের বহু রাজনীতিককে আটক করে কেন্দ্র। এ বছরের গোড়াতে ওমর, ফারুখ-সহ কয়েক জনকে মুক্তি দেওয়া হলেও মেহবুবাকে গৃহবন্দি করেই রাখা হয়। বার বার নানা অছিলায় তাঁর গৃহবন্দির সময়কাল বাড়ানো হয় বলে অভিযোগ। গত জুলাইয়ে তিন মাসের জন্য মেহবুবার গৃহবন্দির সময়কাল বাড়িয়েছিল প্রশাসন।
৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের পর মেহবুবাকে প্রথমে দু’টি সরকারি বাসস্থানে আট মাস গৃহবন্দি করে রাখা হয়। তার পর এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে তাঁকে ফের আটক করা হয় জন নিরাপত্তা আইনে। পর তাঁর বাসভবন ‘ফেয়ার ভিউ’য়ে স্থানান্তরিত করা হয় মেহবুবাকে। সেই বাসভবনকে অস্থায়ী জেলে পরিণত করা হয় এবং সেখানেই গৃহবন্দি করে রাখা হয় পিডিপি নেত্রীকে।
আরও পড়ুন: কে বলছেন ভাই? ভার্চুয়াল শুনানিতে বিচারপতিকে প্রশ্ন আইনজীবীর
মেহবুবাকে কোন যুক্তিতে আটকে রাখা হয়েছে তা নিয়ে সরব হয়েছিলেন তাঁর মেয়ে ইলতিজা মুফতি। সরকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন ইলতিজা। গত সেপ্টেম্বরে সেই মামলার শুনানি ছিল। তখন আদালত সরকারের কাছে জানতে চেয়েছিল কত দিন মেহবুবাকে তাদের হেফাজতে রাখবে। এ বিষয়ে দু’সপ্তাহের মধ্যে সরকারের জবাবদিহি চেয়েছিল আদালত। তার পরই এ দিন মুক্তি দেওয়া হয় মেহবুবাকে।
মেহবুবার মুক্তির কিছু ক্ষণের মধ্যেই ইলতিজা টুইট করেন, ‘মেহবুবাকে অনৈতিক ভাবে আটক করা হয়েছিল। আজ অবশেষে মুক্তি পেলেন। এই সঙ্কটময় মুহূর্তে যাঁরা আমার পাশে থেকেছেন, লড়াই চালিয়ে যাওয়ার জন্য আমাকে সাহস জুগিয়েছেন, তাঁদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞ।’
আরও পড়ুন: লাদাখকে বেআইনি ভাবে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা, মন্তব্য চিনের
মেহবুবার মুক্তিতে টুইট করেছেন ওমর আবদুল্লা। তিনি লেখেন, ‘এক বছরেরও বেশি সময় আটক থাকার পর মেহবুবাকে যে মুক্তি দেওয়া হয়েছে, তাতে আমি খুশি। অন্যায় ভাবে তাঁকে আটক করে রাখা হয়েছিল। যা গণতন্ত্র বিরোধী।’