তিন সপ্তাহ ধরে বন্দি মেহবুবা মুফতি এবং ওমর আবদুল্লা। —ফাইল চিত্র।
তিন সপ্তাহের বন্দিদশা কাটিয়ে বেরোতে রাজি হলেন না জম্মু-কাশ্মীরের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি এবং ওমর আবদুল্লা। উপত্যকার বিশেষ মর্যাদা বিলোপের আগে, গত ৪ অগস্ট ওই দুই রাজনীতিককে আটক করা হয়। কিন্তু সম্প্রতি শর্তসাপেক্ষে কেন্দ্রীয় সরকার তাঁদের মুক্তি দিতে রাজি হয় বলে খবর। সেই সব শর্ত মানতে রাজি হননি মেহবুবা এবং ওমর, যার পর তাঁদের বন্দিদশার মেয়াদ আরও বাড়ানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক নিজে দেখা করেছিলেন মেহবুবা এবং ওমরের সঙ্গে। অজ্ঞাত স্থান থেকে তাঁদের নিজেদের বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেন তিনি। তবে সেই সঙ্গে বেশ কিছু শর্তও দেন। বলা হয়, বন্দিদশা থেকে ছাড়া পেলেও, সমর্থকদের নিয়ে কোনওরকম সমাবেশ করা যাবে না। ৩৭০ ধারা বিলোপের প্রতিবাদে ডাকা যাবে না মিটিং-মিছিলও। তবে এই শর্ত মানতে রাজি হননি মেহবুবা এবং ওমর। তার পরেই তাঁদের আরও বেশ কিছু দিন বন্দি করে রাখার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। এ নিয়ে দিল্লির তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে মেহবুবা এবং ওমরের কাছে এই ধরনের কোনও প্রস্তাব নিয়ে তিনি যাননি বলে দাবি করেছেন সত্যপাল মালিক। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘কাউকে ছাড়া হবে, না আটক করে রাখা হবে, রাজ্যপাল সেই সিদ্ধান্ত নেয় না। আমি কোনও প্রস্তাব দিইনি।’’
মেহবুবা এবং ওমরকে শুরুতে শ্রীনগরের হরি নিবাস প্যালেসে রাখা হয় বলে সূত্রের খবর। কিন্তু সেখানে দু’জনের মধ্যে বচসা বাধলে, পৃথক গেস্ট হাউসে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের। সেখানে পাহারায় মোতায়েন পুলিশ কর্মীদের কাছে থেকেই উপত্যকা সম্পর্কে তাঁরা খোঁজ খবর নিচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। ওমর আবদুল্লার বাবা ফারুখ আবদুল্লাকেও গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। তাঁদের কবে মুক্তি দেওয়া হবে, পরিস্থিতি বুঝে স্থানীয় প্রশাসনই তা ঠিক করবে বলে সম্প্রতি দিল্লির এক আধিকারিক জানান। যদিও দিল্লি থেকেই সব কিছু পরিচালনা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের।
আরও পড়ুন: নিয়ন্ত্রণরেখায় ১০০ কম্যান্ডো মোতায়েন করল পাকিস্তান, কড়া নজর রাখছে ভারত
আরও পড়ুন: জাত ভাঁড়ানোর অভিযোগে বিধায়ক পদ খোয়াতে পারেন প্রাক্তন এই মুখ্যমন্ত্রী