National News

মেঘালয়ে স্বঘোষিত ‘আইএলপি’র মেঘ!

বিধানসভা সর্বসম্মত প্রস্তাব গ্রহণ করার পরেও কেন্দ্র ইনারলাইন চালু না-করায়, এর তীব্র সমালোচনা করে মঞ্চের নেতারা বলেন, কেন্দ্র সরকার গণতান্ত্রিক নিয়ম ও কাঠামো মানছে না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০১:৪১
Share:

প্রতীকী ছবি।

রাজ্যে বা কেন্দ্রের সরকার করেনি। মেঘালয়ে আন্দোলনকারী যৌথ মঞ্চই রাজ্যে ইনারলাইন পারমিট (আইএলপি) চালু করে দেওয়ার হুমকি দিল। সরকারের অনুমোদনহীন এই স্বঘোষিত ব্যবস্থা চালু করার চেষ্টা হলে রাজ্যে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হবে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে। এতে উত্তেজনা তৈরি হতে পারে। ভিন্ রাজ্যের লোকেদের হেনাস্থার মুখেও পড়তে হতে পারে।

Advertisement

বিধানসভায় সর্বসম্মত প্রস্তাব গ্রহণের পরেও রাজ্য সরকার ও কেন্দ্র মেঘালয়কে বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার রেগুলেশন আইনের আওতায় এনে ইনারলাইন পারমিট চালু করেনি, ইনারলাইনের দাবিতে ও সিএএর বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চ ‘কোমসো’ জানিয়েছে, তারাই নিজেদের মতো করেই ইনারলাইন পারমিট চালু করে দেবে। টানা পাঁচ দিন অবস্থান বিক্ষোভের পরে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মঞ্চ।

‘কোমসো’র চেয়ারম্যান রবার্টজুন খারজারিম বলেন, ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে তাঁদের কর্মসূচি শুরু হবে। যত দিন না কেন্দ্র মেঘালয়ে ইনারলাইন পারমিট চালু করছে এবং রাজ্য সরকার সংশোধিত আবাসিক সুরক্ষা ও নিরাপত্তা আইন চালু করছে তত দিন মঞ্চের তরফেই অনুপ্রবেশ রোখা হবে, ইনারলাইন পারমিট দেওয়া হবে। সব প্রবেশপথে নজরদারি চালাবেন মঞ্চের স্বেচ্ছাসেবকরা। জেলা টাস্ক ফোর্স ও শ্রম পরিদর্শকদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে স্বেচ্ছাসেবকরা বিভিন্ন নির্মাণস্থল, দোকান, কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের ওয়ার্ক পারমিট পরীক্ষা করবে।

Advertisement

বিধানসভা সর্বসম্মত প্রস্তাব গ্রহণ করার পরেও কেন্দ্র ইনারলাইন চালু না-করায়, এর তীব্র সমালোচনা করে মঞ্চের নেতারা বলেন, কেন্দ্র সরকার গণতান্ত্রিক নিয়ম ও কাঠামো মানছে না। রাজ্য সরকারও পর্যাপ্ত চাপ দিচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করে ইনারলাইন পারমিটের ব্যাপারে আলোচনা চালান। শাহ জানান, তিনি দিল্লির নির্বাচনের পরে রাজ্যের বিভিন্ন দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনায় বসবেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement