অভিযান: কসানের খাদানে নামানো হচ্ছে নৌকো। নিজস্ব চিত্র
জলের তলায় দৃশ্যমানতা মাত্র এক ফুট। তার ভিতরেই চোখে পড়ল সেই সরু সুড়ঙ্গটা। সম্ভবত যার ভিতরে ১৩ ডিসেম্বর আটকে পড়েছিলেন ১৫ জন শ্রমিক। কিন্তু তাঁদের বেরিয়ে আসার কোনও উপায়ই ছিল না। নৌসেনার ডুবুরিরা দেখলেন, সেই গর্তের মুখ পুরোপুরি কয়লায় চাপা। কাদা, বালি, কয়লা মাখা গভীর জলের তলায় দেখা মিলল শুধুমাত্র কয়েকটি কাঠের টুকরোর। সম্ভবত তা কোনও ট্রলির ভগ্নাবশেষ।
মেঘালয়ের কসান জলমগ্ন কয়লাখনিতে শ্রমিকদের আটকে পড়ার ১৮ দিন পরে গহ্বরের তলায় পৌঁছতে পারলেন নৌসেনার ডুবুরিরা। কিন্তু অগ্রগতি বলতে ওইটুকুই। গুহা থেকে জল বের করতে না পারলে অন্ধকার এবং জল ভরা সুড়ঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকদের ‘দেহ’ উদ্ধার করা সম্ভব নয় বলে জানালেন উদ্ধারকারীরা। আজ বেলা একটা নাগাদ ডুবুরিরা গহ্বরে নামেন। বিকেল তিনটে নাগাদ উপরে উঠে তাঁরা জানান, জলের তলায় একটি সরু সুড়ঙ্গ দেখা গিয়েছে। তার মুখ কয়লা দিয়ে বন্ধ। দৃশ্যমানতা কম থাকায় আর বেশি এগোনো যায়নি। আপাতত খনিতে নামার প্রধান শ্যাফটটিকে পাটাতন হিসেবে ব্যবহার করে ওড়িশার দমকল দফতরের দলটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পাম্প চালানোর ব্যবস্থা করছে। আরও শ্যাফট পাম্প বহনের জন্য তৈরি করা হচ্ছে। নৌসেনা ও এনডিআরএফ জানিয়েছে, জলতল ৩০ মিটারের নীচে নামলে তখন জলের তলায় নেমে তল্লাশি চালানো সম্ভব হবে। তা না হলে সরু ও বদ্ধ গহ্বরে ৭০ ফুট জলের নীচে জলের চাপে ডুবুরিরা অসুস্থ হয়ে পড়বেন।