মুখ্যমন্ত্রী কনরাড এবং বিরোধী দলনেতা মুকুল। ফাইল চিত্র।
আগামী বছরের গোড়াতেই বিধানসভা ভোট। তার আগে বড় ঘোষণা করলেন মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী তথা ন্যাশনাল পিপল্স পার্টি (এনপিপি)-র প্রধান কনরাড সাংমা। প্রয়াত পিএ সাংমার ছেলে শনিবার বলেন, ‘‘জাতীয় স্তরে আমরা এনডিএতে থাকব। কিন্তু রাজ্যে বিধানসভা ভোটে বিজেপি বা অন্য কোনও দলের সঙ্গে সমঝোতা করব না।’’
কনরাডের এই ঘোষণায় মেঘালয়ের বিধানসভা ভোটে প্রধান বিরোধী দল তৃণমূল সুবিধা পেতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। তাঁদের মতে, উত্তর-পূর্বের ওই রাজ্যে আগামী বিধানসভা ভোটে এনপিপির মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে তৃণমূলের সঙ্গে। তাই বিজেপির সঙ্গ ছাড়ার ফলে গারো পাহাড় অঞ্চলের ‘শক্ত ঘাঁটিতে’ এনপিপির তেমন অসুবিধা না হলেও খাসি-জয়ন্তিয়া অঞ্চল এবং শিলং এলাকায় বিপাকে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত নভেম্বরে মেঘালয়ের বিরোধী দলনেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা দুই তৃতীয়াংশ বিধায়ককে নিয়ে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। এর পর সে রাজ্যের বিধানসভায় প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা পেয়েছে তৃণমূল। ২০১০ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকা মুকুলের পূর্ব গারো এবং জয়ন্তিয়া পাহাড়ে প্রভাব রয়েছে। প্রয়াত পিএ সাংমা এবং তাঁর পরিবারের সঙ্গে কয়েক দশক ধরেই মুকুলের সম্পর্ক ‘মধুর’।