—প্রতীকী চিত্র।
গুয়াহাটি, ৭ ডিসেম্বর: অসমে হোটেল, রেস্তরাঁ, প্রকাশ্য স্থানে গোমাংস খাওয়া নিষিদ্ধ করতে অসম সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, খাস বিজেপির তরফেই বিভিন্ন রাজ্যে তার নিন্দা হচ্ছে। এ বার মেঘালয় বিজেপির বিধায়ক তথা বরিষ্ঠ নেতা সানবর সুলাই বললেন, ভারতীয় সংবিধান যেখানে গোমাংস ভক্ষণ নিষিদ্ধ করেনি, সেখানে সরকার এই ভাবে নিষেধাজ্ঞা চাপাতে পারে না। তাঁর মতে, বিভিন্ন রাজ্যে, বিভিন্ন দেশে মানুষ সাপ, ব্যাঙ, ইঁদুর, পোকা সব খেয়ে থাকে। খাওয়া নিজস্ব পছন্দের বিষয়। তা নিয়ে সরকারের হস্তক্ষেপ বাঞ্ছনীয় নয়।
সুলাই জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে তাঁর আপত্তি তিনি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে জানাবেন। তিনি
যত দিন বেঁচে থাকবেন মেঘালয়ে খাবারের উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপাতে দেবেন না।
এ দিকে, অসমে গোমাংস বন্ধের সরকারি সিদ্ধান্তের পরে মুসলিমদের একাংশের তরফে মসজিদের আশপাশে শুয়োরের মাংস বিক্রি বন্ধ করারও দাবি তোলা হয়েছিল। সেই দাবি উড়িয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা বলেন, কোনও ধর্মে শুয়োরকে বাবা-মা হিসেবে পুজো করা হয় না। তাই এই দাবি অবান্তর। বরং শুয়োরের মাংস অসমের অর্থনীতির উল্লেখযোগ্য অঙ্গ। তাই শুয়োর পালন যাঁরা করতে চান তেমন যুবাদের জন্য আগামী বাজেটে সরকার আরও ভাল প্রকল্প আনতে চলেছে।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ভূপেন বরা গোমাংস বিতর্ক প্রসঙ্গে বলেছিলেন, “শ্রীমন্ত শঙ্করদেব সব ধর্ম-সম্প্রদায়কে নিয়ে একসঙ্গে বৃহত্তর সমাজ গড়ে তুলেছিলেন। তিনিও গোমাংস বন্ধের কথা বলেননি।” হিমন্ত আজ তার জবাবে বলেন, “আমরা গরুকে মা বলে পুজো করি। গোমাংসের সঙ্গে শ্রীমন্ত শঙ্করদেবের নাম জড়িয়ে সুরুচির পরিচয় দেননি বরা। শ্রীকৃষ্ণের সমগ্র লীলায় সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছে গরু। গরু আমাদের পূর্বপুরুষের যত উপকার করেছে তা আর কেউ করেনি। বরার উচিত আগে ভাল করে শঙ্করদেব বা বৈষ্ণবধর্ম সম্পর্কে পড়াশোনা করে কথা বলা।”