National News

২৯ দেশের টিয়ার সঙ্গে বাস করেন এই পাখি পাগল!

টিয়াপাখিরা যেন তাঁর নয়নের মণি। ওদেরকে পরিবারের আলাদা বলেই মনে করেন না কর্ণাটকের কালাবুরাগি শহরের পশু চিকিৎসক বিশ্বনাথ হেগ্গা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৬:০৭
Share:

আদরের টিয়াদের সঙ্গে পশু চিকিৎসক বিশ্বনাথ হেগ্গা।

টিয়াপাখিরা যেন তাঁর নয়নের মণি। ওদেরকে পরিবারের আলাদা বলেই মনে করেন না কর্নাটকের কালাবুরাগি শহরের পশু চিকিৎসক বিশ্বনাথ হেগ্গা।

Advertisement

গোটা বিশ্বের নানান দেশ ঘুরে ২৯ টি ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতির টিয়া পাখি সংগ্রহ করেছেন বিশ্বনাথ। তাঁর কথায়, ‘‘পশু চিকিৎসক হিসেবে বহু দিন ধরেই আমি কর্নাটক সরকারের সঙ্গে কাজ করছি। কিন্তু টিয়া পাখি পোষার ইচ্ছে আমার বহু দিনের। আর এখন আমি ২৯ টা দেশের নানান প্রজাতির পাখি সংগ্রহ করে প্রজনন করছি। নিউজিল্যান্ড থেকে আনা লভ বার্ড দিয়েই আমার এই কাজের সূত্রপাত।’’

ঘরময় টিয়াপাখিদের ছড়াছড়ি। বিশ্বনাথের মা থেকে শুরু করে স্ত্রী, তাঁর পুত্র সকলেই সন্তান স্নেহে লালন পালন করে ওই পাখিদের। প্রত্যেকের নামও দিয়েছেন বিশ্বনাথের পরিবার। আর তাদের নাম ধরে ডাকলেই কখনও বিশ্বনাথের ঘাড়ে, কখনও তাঁর স্ত্রী’র হাতে চেপে পড়ে তাঁদের আদরের টিয়ারা। আর প্রিয় পোষ্যদের খাওয়া দাওয়া?

Advertisement

টিয়াদের সন্তান স্নেহেই লালন করেন বিশ্বনাথের স্ত্রী।

বিশ্বনাথের কথায়, ‘‘দিনে চার বার ওদের সেরেলাক খাওয়ানো হয়। আর এই সেরেলাক আনা হয়েছে ব্রাজিল থেকে। আমার স্ত্রী সন্তানদের ছেলের মতো করেই খাওয়ায়।’’

আরও পড়ুন: বিশ্বে দ্রুত উন্নয়নশীল শহরের তালিকায় প্রথম দশটি ভারতের

তবে হেগ্গার স্ত্রীর ভালবাসা ছিল সারমেয়দের প্রতি। যদিও হেগ্গা এক এক করে টিয়াদের বাড়িতে নিয়ে আসতে আসতে এখন টিয়া পাখিদেরও প্রেমে পড়ে গিয়েছেন বিশ্বনাথ হেগ্গার স্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘কুকুরদের সঙ্গে সঙ্গেই টিয়াপাখিদেরও দেখভাল করি আমি। খুব ভাল লাগে, যখন দেখি আমার স্বামী পাখিদের আবেগ বুঝতে পারেন। পাখিদের আমরা নিজের সন্তানের মতোই ভালবাসি।’’

টিয়াদের সঙ্গে ছেলেদের কথোপকথন শুনতে খুবই ভাল লাগে বিশ্বনাথের।

শুধু হেগ্গা পরিবারই নয়। বিশ্বনাথের পড়শিরাও প্রায় প্রত্যেকে ভালবাসেন হেগ্গা পরিবারের পোষ্যদের। কলোনির এক বাসিন্দা সন্তোষ পাতিল বললেন, ‘‘উইকেন্ডে আমরা পাড়ার সবাই দল বেঁধে ডক্টর হেগ্গার বাড়ির পাখিদের দেখতে যাই। পাখিদের সঙ্গে সময় কাটাতেও বেশ ভাল লাগে।’’

আরও পড়ুন: ভাইয়ের সঙ্গে স্ত্রী-বদল নাকচ করায় স্বামী-দেওরের হাতে খুন যুবতী!

তবে পাখিদের বাড়িতে রাখার আর এক সুবিধার কথা মনে করিয়ে দিলেন এই পাখি পাগল। বিশ্বনাথের কথায়, ‘‘পাখিদের সঙ্গে রোজ কথা বলতে বলতে আমার ছেলেদের কমিউনিকেশন ভাল হয়েছে। আর ওই টিয়াদের সঙ্গে আমার ছেলেরা যখন কথা বলে, তখনও বেশ মজা লাগে আমার।’’

(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরাবাংলা খবরপেতে পড়ুন আমাদেরদেশবিভাগ।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement