স্নেহা মোহনদাস। চেন্নাইয়ের বাসিন্দা স্নেহা মোদীর সাত কৃতী নারীর মধ্যে অন্যতম হয়েছেন। তিনিই প্রথম নারী, যিনি মোদীর টুইটার হ্যান্ডল থেকে শেয়ার করেছেন নিজের গল্প।
২৩ বছরের স্নেহা ভারত থেকে ক্ষুধা পুরোপুরি দূর করতে চাইছেন। আর তার জন্য শুরু করে দিয়েছেন তাঁর প্রজেক্ট ফুড ব্যাঙ্ক। অভুক্তদের মুখে খাবার তুলে দিয়ে সেই লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছেন তিনি।
কী এই ফুড ব্যাঙ্ক? কী ভাবে তা ভারত থেকে ক্ষুধা দূর করবে? ফুড ব্যাঙ্কের ধারণাটা খুবই সহজ সরল। নিজের পরিবারের জন্য যখন রান্না করবেন, একটু বেশি করে রান্না করুন। যাতে গরীব এবং গৃহহীনদেরও মুখেও খাবার তুলে দিতে পারেন।
কী ভাবে গরীবদের কাছে নিজের রান্না পৌঁছে দেবেন? বাড়তি খাবার প্যাক করে রাখুন আর হোয়াটস্অ্যাপ বা ফেসবুকে স্নেহাকে খবর দিন। স্নেহার ভলান্টিয়ার আপনার বাড়ি থেকেই প্যাকিং খাবার তুলে নিয়ে যাবেন।
এরকম একটা অভিনব পরিকল্পনা স্নেহার মাথায় ফেসবুক থেকেই এসেছিল। ২০১৫ সালের জুন মাস থেকেই ফেসবুকে খুব সক্রিয় স্নেহা। তখনই সোশ্যাল মিডিয়াকে কাজে লাগানোর কথা মাথায় আসে তাঁর।
আর বাড়তি খাবার বানিয়ে গরীবদের খাওয়ানোর চল আগে থেকেই স্নেহার বাড়িতে রয়েছে। স্নেহা মা-ঠাকুরদারাও একই ভাবে বাড়তি রান্না করে গরীবদের খাওয়াতেন।
পরিবারের অভিভাবকদের সঙ্গে স্নেহাও খাবার পরিবেশন করতেন ছোট থেকে। স্কুলে পড়াকালীন প্রতি বৃহস্পতিবার সাইবাবার মন্দিরে যেতেন এবং সেখানে গরীবদের খাওয়াতেন।
এই জার্নিতে বারবারই স্নেহার একটা কথা মনে হত, অনেকেই অভুক্তদের খাওয়াতেন চান, কিন্তু এর জন্য কোথায় যেতে হবে বা কার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে, সেই ধারণা অনেকেরই ছিল না।
তারপরই সোশ্যাল মিডিয়াকে কাজে লাগিয়ে একটি গ্রুপ বানান তিনি। এইভাবেই তৈরি হয়ে যায় ফুড ব্যাঙ্ক। এই মুহূর্তে ৮ হাজারেরও বেশি সদস্য রয়েছেন এই ফুড ব্যাঙ্ক গ্রুপের।
প্রতিদিন প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ প্যাকেট খাবার পৌঁছে যায় অভুক্তদের জন্য। আপাতত তাঁর কাজ চেন্নাইয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। গোয়া, ফরিদাবাদ, মুম্বই, পুণে, দিল্লি থেকে ফোন আসে তাঁর কাছে, কী ভাবে তাঁরা ফুড ব্যাঙ্কের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে, তা জানতে চান।