প্রতীকী ছবি।
অ্যাডমিট কার্ডে নাম এবং ছবি এক জনের, কিন্তু যিনি পরীক্ষা দিলেন তিনি অন্য জন! রবিবার মেডিক্যালের প্রবেশিকা পরীক্ষা (নিট) ছিল। সেই পরীক্ষায় ‘আসল’ পরীক্ষার্থীর বদলে পরীক্ষা দিতে এলেন চিকিৎসা বিজ্ঞানেরই অন্য এক পড়ুয়া। রাজস্থানের ভরতপুরে ঘটল এমনই ঘটনা। পুলিশ পরীক্ষার্থী-সহ ছ’জনকে আটক করেছে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, অন্যের হয়ে যিনি পরীক্ষায় বসেছিলেন তাঁর নাম অভিষেক গুপ্ত। ভরতপুরের সরকারি কলেজে এমবিবিএসের ছাত্র তিনি। রবিবার রাহুল গুর্জর নামে এক নিট পরীক্ষার্থীর বদলে অভিষেক পরীক্ষা দেন। এই চক্রের মূল পান্ডা অভিষেকের কলেজেরই অন্য এক ছাত্র রবি মীনা। পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, রাহুলের থেকে ১০ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছিল।
ভরতপুরের এএসপি অক্লেশ কুমার বলেন, ‘‘একটি পরীক্ষাকেন্দ্রে রাহুলের ছদ্মবেশে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন অভিষেক। পরীক্ষকের সন্দেহ হওয়ায় তিনি পুলিশকে খবর দেন। তার পরই অভিষেককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে এই চক্রের হদিস মেলে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ছ’জনকে আটক করা হয়েছে।’’ রাহুল, অভিষেক, মীনা ছাড়াও অমিত, দয়ারাম এবং সুরজ সিংহ নামে আরও তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ।
মধ্যপ্রদেশের ব্যাপম কেলেঙ্কারির কথা অজানা নয়। ইনদওরের চিকিৎসক আনন্দ রাই ও গোয়ালিয়রের সমাজকর্মী আশিস চতুর্বেদীর চেষ্টায় ২০১৩ সালে পর্দাফাঁস হয় এই কেলেঙ্কারির। সরকারি চাকরি, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানে প্রবেশিকা পরীক্ষা নেয় ব্যবহারিক পরীক্ষা মণ্ডল বা ব্যাপম। কিন্তু এই পরীক্ষায় ‘ভুয়ো’ পরীক্ষার্থীর পর্দাফাঁস হয়েছিল। রবিরারের নিটেও তেমনই এক চক্রের হদিস পেল পুলিশ।