ভোটমুখী রাজ্যে প্রচারে ঝাঁপাবেন মায়া

ছত্তীসগঢ় ও মধ্যপ্রদেশে ভোট হবে আগে। প্রথম পর্বে তাই এই দু’রাজ্যে প্রচারে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন মায়াবতী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০১৮ ০১:৫৯
Share:

— ফাইল চিত্র।

আগামী এক মাসে ছত্তীসগঢ়, মধ্যপ্রদেশ, তেলঙ্গানা এবং রাজস্থানে মোট ২৬টি জনসভা করার পরিকল্পনা করেছেন বিএসপি নেত্রী মায়াবাতী। দলীয় সূত্রে জানানো হয়েছে, দিল্লিতে ক্যাম্প অফিস করে নির্বাচনমুখী ওই রাজ্যগুলিতে সফর করবেন দলিত নেত্রী। রাজনীতির লোকজন মনে করছেন, সম্প্রতি ছত্তীসগঢ়ের সভায় যথেষ্ট ভিড় দেখে মায়াবতী উৎসাহিত হয়েছেন। এবং তারই সূত্রে এতগুলি সভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ছত্তীসগঢ় ও মধ্যপ্রদেশে ভোট হবে আগে। প্রথম পর্বে তাই এই দু’রাজ্যে প্রচারে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন মায়াবতী।

Advertisement

মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেনি বিএসপি। আনুষ্ঠানিক ভাবে সমাজবাদী পার্টির সঙ্গেও নয়। তবে সূত্রের খবর, এই রাজ্যে অখিলেশ যাদবের দলের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ এড়িয়ে যেতে পারেন মায়া। ছত্তীসগঢ়ে মায়া লড়ছেন অজিত জোগীর নতুন দল জনতা কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়ে। রাজস্থান এবং তেলঙ্গানায় একাই লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মায়া।

শতকরা হিসেবে সামান্য হলেও এই রাজ্যগুলির দলিতদের একটি অংশের সমর্থন রয়েছে মায়ার দিকে। জোট গড়ে লড়লে এই ভোট কংগ্রেসের ঝুলিতে যেত। কারণ, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়ে কংগ্রেসই প্রধান বিজেপি-বিরোধী শক্তি। কিন্তু মায়াবতী প্রথম দিকে দিকে বিজেপি-বিরোধী শিবিরে থাকার বিষয়ে কিছুটা আশা জাগিয়েও নিজের মতো চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এসপি সূত্রের বক্তব্য, ২০১৯-এর আগে এই সব রাজ্যের বিধানসভা ভোটে আসলে জল মেপে নিতে চাইছেন দলিত নেত্রী। উত্তরপ্রদেশেও জমি মেপে দেখতে চাইছেন লোকসভা ভোটের আগে। বিরোধী ও বিজেপি উভয় শিবিরের লোকজন বুঝতে পারছেন, সব দরজা খুলে রেখেই উনিশের ভোটের দিকে এগোচ্ছেন দরকষাকষিতে দড় এই দলিত নেত্রী।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement