ছবি: পিটিআই।
যোগী আদিত্যনাথের পুলিশের হাতে নিগৃহীত সমাজকর্মীরা মতভেদ ভুলে বিরোধী দলগুলিকে একজোট হয়ে আন্দোলন করার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে উল্টো পথে হাঁটলেন বিএসপি নেত্রী মায়াবতী। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) এবং এনআরসি নিয়ে মোদী সরকারকে আক্রমণের পাশাপাশি আজ কংগ্রেসকেও নিশানা করেছেন তিনি।
নিজের জন্মদিনে লখনউয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন মায়াবতী। বলেন, ‘‘বিজেপি-শাসিত কেন্দ্রীয় সরকার কংগ্রেসের পথেই হাঁটছে। রাজনৈতিক লাভের জন্য ক্ষমতার অপব্যবহার করছে তারা। কংগ্রেস এই কাজ করায় মানুষ তাদের ছুড়ে ফেলে দিয়েছিল।’’ এনআরসি ও নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মোদী সরকারকে আক্রমণ করেন বিএসপি নেত্রী। দু’দিন আগেই অবশ্য এই বিষয় নিয়ে ডাকা বিরোধীদের বৈঠক বয়কট করেছিলেন তিনি। সমালোচনা শুরু হয়, ‘সিবিআই জুজু’-র ভয়ে বিজেপির হাত শক্ত করছেন মায়াবতী। অনেকের মতে, বাধ্য হয়েই আজ বিজেপিকে নিশানা করলেন বিএসপি নেত্রী।
লখনউয়ে মায়াবতী যখন বিজেপি-কংগ্রেস দু’দলকেই নিশানা করছেন, তখনই উত্তরপ্রদেশের সমাজকর্মীরা দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে বিরোধীদের একজোট হওয়ার প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরেছেন। সিএএ নিয়ে আন্দোলনে অংশ নিয়ে জেলে যাওয়া প্রাক্তন আইপিএস এস তারাপুরি, সমাজকর্মী দীপক কবীর, কংগ্রেস কর্মী সাদফ জাফর তাঁদের উপর পুলিশি হেনস্থার কথা তুলে ধরেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন সাদফ। বলেন, ‘‘চড় থাপ্পড়, পেটে লাথি দেওয়া হয়েছে বারবার। হাঁটুতে ব্যাটন মেরে প্রায় অকেজো করে দেওয়া হয়েছে আমাকে। গালিগালাজ করেছে পুলিশ। পদবির সূত্র ধরে পাকিস্তানে ফিরে যেতে বলা হয়েছে। এমনকি বলা হয়, আমি কি সন্তান প্রসবের জন্য এখানে বসে রয়েছি!’’
আরও পড়ুন: হাঙ্গামার আশঙ্কায় কাশ্মীরে পুরোপুরি ফিরল না ইন্টারনেট
নাগরিকত্ব আইন এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জি নিয়ে বিক্ষোভে পুলিশি হামলার খতিয়ান তুলে ধরতে বিরোধী শিবিরের প্রবীণ নেতা শরদ যাদব, আরজেডি-র মনোজ ঝাকে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন সীতারাম ইয়েচুরি, বৃন্দা কারাট, ডি রাজা। সাদফরা সেখানেই তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা শুনিয়েছেন। সীতারাম বলেন, ‘‘গুজরাত দাঙ্গার পর অন্তত একজন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন যিনি নরেন্দ্র মোদীকে রাজধর্ম পালন করতে বলেছিলেন। আর আজ মোদী নিজেই প্রধানমন্ত্রী। কে আর কাকে বলবে।’’ শরদ যাদবের মন্তব্য, ‘‘অদৃশ্য জরুরি অবস্থা চলছে। জেলের ভিতর- বাইরের ফারাক নেই।’’