বিজেপিকে ঠেকাতে এ বার কি উত্তরপ্রদেশের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দল সমাজবাদী পার্টি এবং বহুজন সমাজ পার্টি হাত মেলাতে চলেছে? রাজ্যের আসন্ন উপনির্বাচনকে ঘিরে এই জল্পনাই ঘুরে বেড়াচ্ছে রাজনৈতিক মহলে।
আগামী ১১ মার্চ গোরক্ষপুর এবং ফুলপুর— এই দু’টি লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে। যোগী আদিত্যনাথ মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর গোরক্ষপুর লোকসভা আসনটি ফাঁকা হয়। অন্য দিকে, কেশব প্রসাদ মৌর্য উপমুখ্যমন্ত্রী হওয়ায় ফাঁকা হয় ফুলপুর আসনটিও।
উপনির্বাচনকে ঘিরে সমাজবাদী পার্টির মুখপাত্র পাঙ্খুরী পাঠকের এক টুইট দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর জোট জল্পনাকে আরও উস্কে দিয়েছে। তিনি টুইট করেন, ‘ফুলপুর ও গোরক্ষপুর উপনির্বাচনে সপা-কে সমর্থন করছে বসপা। এক সঙ্গে লড়াই করার অপেক্ষা করছি। আমরা বহু দিন মায়াবতীজির এই সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছিলাম।’ যদিও সমাজবাদী পার্টি বা বহুজন সমাজ পার্টির তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
আরও পড়ুন: এক লাফে ত্রিপুরার সিংহাসনে বিজেপি
বসপার এই ‘সমর্থন’ প্রসঙ্গে সমাজবাদী পার্টির নেতা সুনীল সিংহ যাদব বলেন, “আমি যতদূর জানি বিএসপি উপনির্বাচনে লড়াই করে না। যে দু’টি আসনে উপনির্বাচন হচ্ছে তাতে সপা বিজেপিকে কড়া টক্কর দেবে।”
গোরক্ষপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে পর পর পাঁচবার জিতেছেন যোগী আদিত্যনাথ। গোরক্ষপুর যোগীর নিজের কেন্দ্র। তাঁর সেই ঘরের মাঠেই যোগীকে ধরাশায়ী করতে সমাজবাদী পার্টি ও কংগ্রেস তত্পর হয়েছে। পিছিয়ে নেই মায়াবতীর দলও। ওই দু’টি আসনে তারা প্রার্থী না দিলেও বিজেপিকে হারাতে যে সর্বশক্তি প্রয়োগ করা হবে, দলের তরফে তেমনই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। সেই ইঙ্গিত কি তা হলে অখিলেশের সঙ্গে জোটের?
আরও পড়ুন: ‘নীরবতা’ ভেঙে হুঙ্কার মোদীর
বিরোধী দল থাকাকালীন উপনির্বাচনে কখনও লড়েনি বহুজন সমাজবাদী পার্টি। কিন্তু গোরক্ষপুর ও ফুলপুর উপনির্বাচন নিয়ে যথেষ্ট তত্পর হয়েছেন মায়াবতী। ২০১৯-এ লোকসভা নির্বাচন। তা হলে কি এই উপনির্বাচনকেই সামনে রেখে সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে নিজেদের বোঝাপড়াটা সেরে ফেলতে চাইছেন তিনি, জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
গোরক্ষপুরে ইতিমধ্যেই সমাজবাদী পার্টি তাদের সহযোগী দল নিশাদ পার্টির প্রধান সঞ্জয় নিশাদের ছেলে প্রবীণ নিশাদকে প্রার্থী হিসাবে দাঁড় করিয়েছে। ওই আসনে বিজেপির প্রার্থী উপেন্দ্র শুক্ল এবং কংগ্রেস প্রার্থী হয়েছেন সুহৃতা চট্টোপাধ্যায়। অন্য দিকে, ফুলপুরে সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী নগেন্দ্র সিংহ পটেল।