মায়াবতী
প্রশ্ন ছিল, মায়াবতীও কি এনডিএতে আসবেন? প্রধানমন্ত্রীর জবাব, ‘‘কে আসবেন, কে আসবেন না, কোনও সমঝদার ব্যক্তি কি টিভিতে তার উল্লেখ করবে?’’
বিরোধী জোট চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে বিজেপির কাছে। যা ভাঙতে নানা ভাবে তৎপর তারা। আজ টিভি সাক্ষাৎকারে সেই চেষ্টা করলেন প্রধানমন্ত্রীও। মায়াবতীর মতো নেত্রীর এনডিএতে যোগ দেওয়া নিয়ে যখন তাঁকে প্রশ্ন করা হল, সে সম্ভাবনা একেবারেই উড়িয়ে দিলেন না নরেন্দ্র মোদী। কংগ্রেসের অভিযোগ, তদন্তকারী সংস্থার অপব্যবহার করে মায়াবতীর উপরে চাপ বাড়াচ্ছে বিজেপি। তাই তিনি বিরোধী জোটে থাকলেও খোলাখুলি কংগ্রেসের সঙ্গে আসছেন না। আজও মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের সরকারে উপর চাপ বাড়িয়েছেন তিনি। মায়াবতীর দাবি মেনে নেওয়ার কথাও জানিয়েছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের আশা, অটুট থাকবে বিরোধী জোট। চন্দ্রবাবু নায়ডুর অভিযোগ, বিরোধী জোট ভাঙতে মোদীর ইশারাতেই তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওকে দিয়ে নতুন ফ্রন্ট তৈরির চেষ্টা হচ্ছে। যদিও মোদী আজ বলেন, ‘‘কেসিআর এমন কোনও জোট করতে পেরেছেন, এমন তথ্য নেই তাঁর কাছে।’’
বিরোধীদের মতে, বিজেপি ছেড়েই শরিকরা বিরোধী জোটে যাচ্ছে। জোটে থেকেও শিবসেনা রোজ বিজেপির বিরুদ্ধেই খড়্গহস্ত হচ্ছে। আর মোদীর যুক্তি, বিজেপি চায়, শরিকদেরও প্রসার হোক। কেউ ভাবে চাপ দিয়ে ফায়দা, কেউ ভাবে আলোচনা করে। কিন্তু বিজেপি সকলের কথা শোনে। উল্টো দিকে বিরোধী জোটের দলগুলির জন্ম কংগ্রেসের বিরোধিতা করেই। তারা কংগ্রেসের সঙ্গে জুড়লে কংগ্রেসই তাদের শেষ করে দেবে।