অখিলেশ মায়ার মহাজোট শিকেয়

জোটের কঙ্কালটা বেরিয়ে পড়েছিল লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণার রাতেই। দলীয় নেতাদের সঙ্গে আসনওয়াড়ি পর্যালোচনা করে অখিলেশ দুষেছিলেন মায়াবতীকে। ঘরোয়া ভাবে জানিয়েছিলেন, বিভিন্ন আসনে মায়াবতীর দলের পুরো ভোট আসেনি এসপি প্রার্থীদের ঝুলিতে। বরং তা গিয়েছে বিজেপি শিবিরে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ জুন ২০১৯ ০২:৪৭
Share:

পারস্পরিক দোষারোপ, চোরা যড়যন্ত্রের অভিযোগ, সাম্প্রতিক অতীতের লম্বা-চওড়া প্রতিশ্রুতি— সব শিকেয় তুলে উত্তরপ্রদেশে ১১টি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে একা লড়ার কথা ঘোষণা করলেন মায়াবতী। আজ তাঁর সাংবাদিক বৈঠক শেষ হওয়ার ঠিক পরেই অখিলেশ সিংহ যাদবও সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘এসপি-ও ১১টি আসনে একা লড়বে। এই মুহূর্তে জোটের কোনও প্রয়োজন নেই।’’ সব মিলিয়ে লোকসভা ভোটে ভরাডুবির পরে শোচনীয় দশা রাজ্যের মোদী-বিরোধী এসপি-বিএসপি মহাজোটের।

Advertisement

জোটের কঙ্কালটা বেরিয়ে পড়েছিল লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণার রাতেই। দলীয় নেতাদের সঙ্গে আসনওয়াড়ি পর্যালোচনা করে অখিলেশ দুষেছিলেন মায়াবতীকে। ঘরোয়া ভাবে জানিয়েছিলেন, বিভিন্ন আসনে মায়াবতীর দলের পুরো ভোট আসেনি এসপি প্রার্থীদের ঝুলিতে। বরং তা গিয়েছে বিজেপি শিবিরে।

মায়াবতী অবশ্য গোপনীয়তার ধার ধারেননি। গত কালের বৈঠকের পর আজ সংবাদমাধ্যমের সামনে এসে জানিয়ে দিয়েছেন, একাই লড়বেন আসন্ন উপনির্বাচনগুলিতে। তাঁর কথায়, ‘‘যাদব সম্প্রদায়ের চিরাচরিত ভোটই ধরে রাখতে পারেনি এসপি। তাদের নিজেদের নির্বাচনী ক্ষেত্র কনৌজ এবং ফিরোজাবাদেও নয়। সে কারণেই আসন্ন উপনির্বাচনে তাঁকে নতুন কৌশলের কথা ভাবতে হচ্ছে।’’

Advertisement

মায়াবতী বলেছেন, ‘‘এটা পাকাপাকি বিচ্ছেদ নয়। এসপি যদি ভবিষ্যতে তাদের ভোটারদের ফেরত আনতে পারে, তা হলে আবার জোটের কথা ভেবে দেখা যাবে। যদি দেখি, এসপি নেতৃত্ব রাজনৈতিক ভাবে তাঁদের লক্ষ্য পূরণ করতে পারছেন, ভবিষ্যতে আবার একসঙ্গে কাজ করা যাবে। নয়তো দু’দলের আলাদা ভাবে কাজ করাই ভাল।’’

রাজ্য রাজনীতির অনেকেই মনে করছেন, এটা নিছকই কথার কথা। অদূর ভবিষ্যতে এই মহাজোট ফের গঠনের সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। কারণ, বিশ্বাসটা বদলে গিয়েছে সন্দেহে। এসপি নেতারা এমন সন্দেহও করছেন যে, ভোট-পর্বের মধ্যেই মায়াবতীর উপরে সিবিআই তদন্ত সংক্রান্ত চাপ খুবই বাড়িয়েছিল বিজেপি। আর বহেনজি কিছুটা হলেও সমঝোতায় এসেছিলেন। পাশাপাশি তাঁদের দাবি, মায়াবতীও দরকষাকষি করেছেন বিজেপির সঙ্গে। দাবি করেছিলেন, নোট বাতিলের সময় যে ক্ষতি হয়েছিল বিএসপির, তা পূরণ করে দিতে হবে ভোটে ‘সমঝোতার’ বিনিময়ে।

তবে এই সন্দেহগুলি নিয়ে এখন আদৌ সরব হতে চায় না অখিলেশের দল। সঙ্কটের সময়ে উত্তরপ্রদেশে আর একটি লড়াইয়ের ক্ষেত্র তৈরি না-করে, পরিস্থিতির দিকে নজর রাখাটাই ঠিক কৌশল হবে বলে মনে করছেন অখিলেশ। তবে মায়াবতীর উপরে বিশ্বাস করার মতো ভুল যে তিনি আর করবেন না, এটাও দলীয় সূত্রে জানানো হয়েছে। অখিলেশ জানিয়েছেন, নিজেদের মধ্যে বৈঠকের পর ওই ১১ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement