Mathura Court

খারিজ শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি মামলা

মামলাকারীদের দাবি, মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব কেশব দেব মন্দিরের একাংশ ধ্বংস করেছিলেন। সেখানেই গড়ে ওঠে ইদগাহ মসজিদ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মথুরা শেষ আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২০ ০৪:২২
Share:

বাঁ দিকে, ইদগাহ মসজিদ ও ডান দিকে, শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি মন্দির।—ছবি পিটিআই।

বাবরি মসজিদ নিয়ে রায়ের কিছু ক্ষণের মধ্যেই কৃষ্ণ জন্মভূমি নিয়ে মামলা খারিজ করে দিল মথুরার একটি আদালত। যার ফলে নতুন করে এই বিবাদ উস্কে দিতে সঙ্ঘ পরিবারের প্রয়াস আজ অনেকটাই ধাক্কা খেয়েছে। তবে আদালতে আর্জি খারিজের পরে মামলাকারীদের আইনজীবী বিষ্ণু জৈন জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত যাবেন তাঁরা। তবে শীর্ষ আদালতেও যদি হেরে যান, তা হলে ‘উপযুক্ত রায়ের জন্য শ্রীকৃষ্ণের আদালতে মামলা’ করবেন।

Advertisement

মথুরার আদালতে ‘ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বিরাজমান’-এর নামে দায়ের হওয়া দেওয়ানি মামলার মূল বক্তব্য ছিল, ‘শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি’-র ১৩.৩৭ একরের অধিকার এবং শাহি ইদগাহ মসজিদ সরানো। শ্রীকৃষ্ণ বিরাজমানের হয়ে মামলা করেছিলেন রঞ্জনা অগ্নিহোত্রী ও ছ’জন ভক্ত। মামলাকারীদের দাবি, মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব কেশব দেব মন্দিরের একাংশ ধ্বংস করেছিলেন। সেখানেই গড়ে ওঠে ইদগাহ মসজিদ। ফলে বর্তমান অবস্থান থেকে ওই মসজিদ সরানোর আর্জি জানিয়েছিলেন মামলাকারীরা।

কিন্তু মথুরা নগর আদালতের বিচারক আজ এই মামলা গ্রহণ করতে রাজি হননি। আদালত জানিয়েছে, দেশের বর্তমান আইন অনুযায়ী, ১৯৪৭ সাল থেকে থাকা দেশের যে কোনও প্রান্তে মন্দির-মসজিদ বা গির্জার চরিত্র বদলানোর উপরে আইনি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে ১৯৯১ সালের উপাসনাস্থল সংক্রান্ত বিশেষ আইন অযোধ্যার বিষয়টিকে ছাড় দিয়েছিল। কিন্তু সেই বিষয়টি শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হচ্ছে না।

Advertisement

রামমন্দিরের পাশাপাশি মথুরা ও কাশীর মন্দির নিয়েও আন্দোলনে নেমেছিল সঙ্ঘ পরিবার। রামমন্দির আন্দোলনের সময়ই গেরুয়া বাহিনীর আওয়াজ ছিল, ‘অযোধ্যা তো সির্ফ ঝাঁকি হ্যায়, কাশী-মথুরা আভি বাকি হ্যায়’। রামমন্দিরের শিলান্যাসের পরে সেই আওয়াজ আরও জোরালো হয়েছিল। রামমন্দির আন্দোলনের অন্যতম নেতা বিনয় কাটিয়ার মথুরায় কৃষ্ণজন্মভূমি মামলার আগে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, মথুরায় শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি মন্দিরের লাগোয়া ইদগাহ মসজিদের জমি হিন্দুদের। তার দখল নিতে হবে। প্রয়োজনে আন্দোলনও হবে। কিন্তু মথুরা আদালতের আজকের রায়ে সঙ্ঘ পরিবারের প্রয়াস অনেকটাই ধাক্কা খেল। তবে বিষয়টি এখানেই যে শেষ হচ্ছে না, বিষ্ণু জৈনের কথায় তা স্পষ্ট।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement