কেদারনাথ মন্দিরের কাছে তুষারধস। ছবি: সংগৃহীত।
উত্তরাখণ্ডের কেদারনাথ মন্দিরের ঠিক পিছনে তুষারধস। সকাল সাড়ে সাতটায় সুমেরু পর্বতে তুষারধস নামে। তবে এখনও পর্যন্ত তুষারধসের ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর নেই। যদিও সাতসকালে তুষারধসের জেরে এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। যদিও ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
কেদারনাথ মন্দিরের ঠিক পিছনেই রয়েছে সুমেরু পর্বত। রবিবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ সেই পর্বতের একটি অংশে তুষারধস নামে। কান ফাটানো আওয়াজে সবাই সচকিত হয়ে যান। অনেকেই নিজের ফোনে ঘটনার ভিডিয়ো রেকর্ডিং করতে থাকেন। তুষারধসের জেরে ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর এখনও পর্যন্ত নেই। উত্তরাখণ্ডের ডিজিপি অশোক কুমার বলেন, ‘‘তুষারধসের জেরে কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলেই এখনও পর্যন্ত জানতে পেরেছি। এর ফলে সরস্বতী নদীর জলস্তরেরও কোনও রকম বৃদ্ধি হয়নি। কেদারনাথে বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এবং স্বাভাবিক রয়েছে।’’
প্রসঙ্গত, হিমালয়ে উঁচু অঞ্চলে তুষারধসের ঘটনা নতুন কিছু নয়। এ বছর মে মাসেও একবার সুমেরু পর্বতে তুষারধস নেমেছিল। যদিও প্রতি বার তুষারধসের সময় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে মানুষের মধ্যে। সকলেরই মনে ২০১৩ সালের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের স্মৃতি অমলিন। সে বার একাধিক মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে প্লাবিত হয়েছিল কেদারনাথ। তার প্রভাব পড়েছিল গোটা উত্তরাখণ্ডে। সব মিলিয়ে মৃত্যু হয়েছিল ছ’হাজারেরও বেশি মানুষের। প্রকৃতির এমন রুদ্ররোষের মুখোমুখি কি আবার হতে হবে? কেদারনাথ মন্দির চত্বরে প্রশ্ন এখন সেটাই।