ISRO Mission

ইসরোর সাফল্যের নেপথ্যে মশলা দোসা আর ফিল্টার কফি! চন্দ্র অভিযানে কী অবদান খাবারের?

ইসরোর চন্দ্র অভিযানের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন, এমন এক বিজ্ঞানী সাফল্যের রহস্য ফাঁস করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ফিল্টার কফি আর মশলা দোসা না থাকলে হয়তো এই অভিযান সফল হত না।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১০:১২
Share:

চাঁদের মাটিতে চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞান। ছবি: ইসরো।

ভারতের চন্দ্র অভিযানের নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে মশলা দোসা এবং ফিল্টার কফি। ইসরো সূত্রে সে খবর নিশ্চিতও করা হয়েছে। অনেকেই বলছেন, এই দু’টি খাবার না থাকলে চন্দ্রযান-৩ হয়তো সফল হত না। কিন্তু প্রশ্ন হল, দোসা আর কফির নাম কেন জড়িয়ে পড়ল ইসরোর অভিযানের সঙ্গে? এই দুই খাবারের উপর কী ভাবে নির্ভর করে ছিল চাঁদের যান?

Advertisement

ইসরোর চন্দ্র অভিযানের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন বিজ্ঞানী বেঙ্কটেশ্বর শর্মা। ওয়াশিংটন পোস্টের রিপোর্ট অনুযায়ী, তিনিই অভিযানের সাফল্যের রহস্য ফাঁস করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, এই অভিযানকে সফল করে তোলার জন্য প্রয়োজন ছিল ইসরোর প্রত্যেক সদস্যের সহযোগিতা। প্রত্যেককে স্বাভাবিকের বাইরে বেরিয়ে বাড়তি পরিশ্রম করতে হত। একমাত্র তবেই অভিযান সফল হত। আর সেই কাজটাই করে দেখিয়েছে মশলা দোসা এবং ফিল্টার কফি।

ইসরোর তরফে কর্মীদের দোসা এবং কফি দিয়ে অফিসে টেনে আনা হয়েছিল। প্রতি দিন বিকেল ৫টায় কর্তৃপক্ষ কর্মীদের বিনামূল্যে দোসা এবং কফি খাইয়েছেন। তাতে কর্মীদের কাজের উৎসাহ, অফিসের প্রতি ভরসা, আগ্রহ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি সময় সকলে অফিসে থেকেছেন এবং মন দিয়ে কাজ করেছেন। কর্মীদের এই বাড়তি পরিশ্রমে উৎসাহ জুগিয়েছে সুস্বাদু ফিল্টার কফি এবং মশলা দোসা।

Advertisement

ইসরোর চন্দ্রযান-৩ অভিযান সফল। এই সাফল্য মহাকাশ গবেষণার ইতিহাসে ভারতের মাথায় নতুন পালক এনে দিয়েছে। ভারতই প্রথম, যারা চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পা রেখেছে। সেখানে ১০ দিন ধরে অনুসন্ধান চালিয়েছে ইসরোর রোভার প্রজ্ঞান। চাঁদে রাত নামায় প্রজ্ঞানকে বর্তমানে ‘ঘুম পাড়িয়ে’ দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সূর্য উঠলে আবার তাকে জাগানো যায় কি না, সেটাই এখন দেখার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement