প্রতীকী ছবি।
আগামী সোমবারই পলামুতে ভোট। তার তিন দিন আগে পলামুর মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকা হরিহরগঞ্জে বড়সড় হামলা চালালো মাওবাদীরা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ হরিহরগঞ্জের পুরনো বাসস্ট্যান্ডের কাছে বিজেপি অফিসে মাওবাদীরা বিস্ফোরণ ঘটায়। গভীর রাতে অবশ্য সেখানে কেউ ছিলেন না। ছতরপুরের ডিএসপি শম্ভু সিংহ বলেন, ‘‘এই ঘটনায় বিজেপির অফিস ভবনটি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও হতাহত হওয়ার কোনও খবর নেই।’’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ স্থানীয় বাসিন্দারা বিস্ফোরণের শব্দ পান। স্থানীয়রা কেউ কেউ বাইরে বেরিয়ে দেখেন বিস্ফোরণে বিজেপি কার্যালয়ে আগুন ধরে গিয়েছে। দশ থেকে বারো জন স্লোগান দিতে দিতে চলে যাচ্ছেন। এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, ভয়ে বেশির ভাগ মানুষই ঘর থেকে বেরোননি। বিস্ফোরণ স্থলের ৪০০ মিটার দূরে হরিহরগঞ্জ থানা। তবে পুলিশ আসতে আসতে মাওবাদীরা চম্পট দেয়।
হরিহরগঞ্জ ঝাড়খণ্ড ও বিহারের একবারে সীমাবর্তী এলাকা। পুলিশের দাবি, মাওবাদীরা স্লোগান দিতে দিতে বিহারের দিকে পালিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মাওবাদীরা এলাকা ছেড়ে পালাবার আগে কিছু লিফলেটও ছড়িয়ে যায়। সেই লিফলেটে ভোট বয়কটের ডাক দেওয়ার কথা লেখা আছে। রাফাল চুক্তি, কিংফিসার কর্ণধার বিজয় মাল্য, হীরে ব্যবসায়ী নীরব মোদীর দেশ ছেড়ে পালানোর নিন্দা করে বেশ কিছু লেখাও রয়েছে ওই লিফলেটে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
ঘটনার পরে শনিবার সকাল থেকেই হরিহরগঞ্জ এলাকায় থমথমে পরিবেশ। ভোটকে কেন্দ্র করে লাতেহার, পলামুর বিভিন্ন এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুটমার্চ শুরু হয়েছে বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই। রাস্তায় সমস্ত গাড়ির চেকিং হচ্ছে অনবরত। তা সত্ত্বেও এরকম ঘটনা ঘটনায় চিন্তিত প্রশাসন। পলামু জেলা পুলিশ জানিয়েছে, প্রতিটি গ্রামে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হবে।
এই ঘটনার নিন্দা করে স্থানীয় বিজেপি নেতারা জানান, এই বিস্ফোরণ হতাশারই বহিঃপ্রকাশ। ওদের সঙ্গে কেউ যে নেই এটা ওরা ভাল করেই বুঝতে পেরেছে। তাই ভয় দেখানোর পথ বেছে নিয়েছে।